আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বিরাট কোহলির রান প্রায় ২৮ হাজার। সময়ের হিসাবে ক্যারিয়ারের দৈর্ঘ্য ১৮ বছর। অথচ এতদিন পরে এসে নাকি নিজেকে চিনতে শিখে গেছেন কোহলি। কোহলি বলেছেন স্বীকার করতে লজ্জা নেই ক্যারিয়ারে একাধিকবার নিজের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ করেছেন, ভুগেছেন আত্মবিশ্বাসহীনতায়।
কোহলি বলেন, ‘১৫-১৬ বছর ধরে খেললে এমন সময় আসবেই যখন আপনি নিজের দক্ষতাকে সন্দেহ করবেন। ভাবতে থাকবেন সম্ভবত আপনি আর ভালো খেলতে পারবেন না। সবকিছু আবেগের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। কারণ ব্যাটিং এমন এক দক্ষতা যেখানে সব ভয় কাটিয়ে নামতে হয়। আপনাকে এমন একটা মানসিক অবস্থায় যেতে হবে যেখানে আপনি প্রতিটি বল, প্রতিটি লম্বা ইনিংস খেলার আগে মানসিকভাবে আত্মবিশ্বাসী থাকবেন। আসলে এটাই খেলার সৌন্দর্য।’
ক্যারিয়ারে ২০তম বারের মতো সিরিজ সেরার পুরষ্কার জেতার পর কোহলি এভাবেই অকপটে স্বীকার করেছেন মানসিক দ্বন্দ্বের কথা। খেলার মাঠে খ্যাপাটে, অপ্রতিরোধ্য; নিষ্ঠুর হৃদয়ে বোলারদের কচুকাটা করবেন, ইস্পাত কঠিন নার্ভে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়ে মাইলফলক গড়বেন, ফিল্ডিংয়ে প্রতিপক্ষে ব্যাটারকে স্লেজিং করবেন কিং কোহলিকে পুরো ক্যারিয়ারে এভাবেই চিনে এসেছে সবাই। কিন্তু সিরিজ শেষে ভারতীয় এ ব্যাটিং মাস্টারের অভিব্যক্তিতে প্রমাণ হলো ক্রিকেটের রাজা কোহলি মানুষও বটে।
আরও পড়ুন:
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রাঁচিতে খেলা ১৩৫ রানের ইনিংসটাকেই সিরিজ সেরা মানছেন। ইনিংসটা নাকি কোহলিকে বিশেষ অনুভূতি দিয়েছে। উপলব্ধি করেছেন অমন আরেকটা ইনিংস অনেকদিন খেলেননি। অন্তত গত দুই-তিন বছরে তো নয়-ই।
পরের ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৩তম সেঞ্চুরি। তবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর ২০২৭ বিশ্বকাপ ভাবনায় তিনি থাকবেন কিনা নিন্দুকদের এমন প্রশ্নের জবাব সম্ভবত বিশাখাপত্নমে অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করার পথে সেই 'নো লুক' শটেই দিয়েছেন। যেনো ওই ‘নো লুক’ শটেই লেখা ছিল ‘নাউ ইউ ক্যান সি মি’। চোখকে প্রশান্তি দেয়া শট নিয়ে কোহলির ভাষ্য নিজেকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যেতে হলে ঝুঁকি নিতেই হয়।
৩৭-এ দাঁড়িয়েও কোহলি নতুন করে চিনছেন নিজেকে। দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আপ্লুত হচ্ছেন আবেগে। কোহলির ভক্তদের পাশাপাশি বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যও বিষয়টি নিশ্চয় লোভনীয়।





