প্রত্যাশার পাশ দিয়েও যেন যাওয়া হয়নি বিপিএল নিলামের। একের পর এক প্রশ্নবিদ্ধ বিডিং, আলোচনা কিংবা ফর্মের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের দলে নেয়া আবার মানসম্মত বিদেশিদের উপেক্ষা। ১২ বছর পর নিলাম পদ্ধতি ফিরে এসে বিপিএলে আলোচনার চেয়ে সমালোচনাই উপহার দিয়েছে বেশি। প্রশ্নবিদ্ধ অনেক ক্রিকেটারের উপস্থিতি আবারও জন্ম দিয়েছে সংশয়ের।
বিপিএল নিলামে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন রাইজিং স্টার এশিয়া কাপ এবং ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত সব নাম। সর্বোচ্চ দামও নাইম শেখ পেয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্সের সুবাদে। জাভেদ ওমর বেলিমের বিশ্বাস, মাঠের খেলাতেও পার্থক্য করে দেবেন দেশি খেলোয়াড়রাই
সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিম বলেন, ‘এখানে অনেক গোছানো দল থাকে। যে পার্টিকুলারলি ভালো খেলে সে ম্যাচটি জেতে। খুব বেশি পার্থক্য হয় না। সেটি এ বছর তেমন দেখা যাচ্ছে না। লোকাল ক্রিকেটারদের ওপর ডিপেন্ড থাকবে সকলে।’
আরও পড়ুন:
বিপিএলের পরেই বিশ্বকাপ। তবে অতিমানবীয় কিছু না ঘটলে বিপিএল থেকে বিশ্বকাপের দরজা খুলবে না দেশি ক্রিকেটারদের- এমনটাই বিশ্বাস করেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
জাভেদ ওমর বেলিম আরও বলেন, ‘আমাদের হাতে এতো চয়েস নেই। হাতে গোনা ১৫-২০ প্লেয়ার, তবে পারফর্ম করে চার পাঁচজন। কোনো কারণে এক্সট্রা অর্ডিনারি হলে তা আলাদা কথা। কেউ বলিং এর ক্ষেত্রে কেউ ব্যাটিং এর ক্ষেত্রে।’
বছরের পর বছর ধরেই মান কমছে বিপিএলের। সাবেক ক্রিকেটার বেলিম বিশ্বাস করেন, ঘরোয়া ক্রিকেটের এই আসরে উইকেটের পরিবর্তন আবশ্যক। তবেই সেখান থেকে সুফল পাবে টাইগার ক্রিকেট।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের স্ট্রাকচারে মাঠ যেমন ইম্পর্ট্যান্ট, উইকেটও ইম্পর্ট্যান্ট। মাঠের মেইন পার্ট হলো ২২ গজ। এটি আরও একটু ভালো হলে আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। তার জন্য আমাদের পারফর্মও ইনকনসিসট্যান্ট হয়েছিলো।’
জাভেদ ওমর বেলিমের অবশ্য আক্ষেপ আছে বিদেশি সাইনিং নিয়েও। ক্রিকেট বোর্ডের কাছে প্রত্যাশা, দ্রুতই মান উন্নয়ন ঘটুক ঘরোয়া এই আসরের। অবশ্য আসরের মাঝপথে বিদেশি ক্রিকেটারদের সাইনিং বিপিএলকে আরও জমজমাট করবে বলেই প্রত্যাশা তার।





