বিশ্বকাপ মিশন শেষে দেশে ফিরেছে নারী দল; সামনে ভালো খেলার প্রত্যাশা জ্যোতির

বাংলাদেশের নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি
বাংলাদেশের নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি | ছবি: এখন টিভি
0

ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। নিজেদের খেলা নিয়ে কিছুটা হতাশা প্রকাশ করলেও সামনে ভালো খেলার প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছেন বাংলাদেশের নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

ভালো কিছু করার স্বপ্ন নিয়ে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে ভারত গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। দেশ ছাড়ার আগে অন্তত দুটি ম্যাচে জয়ের প্রত্যাশা থাকলেও একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। আট দলের মাঝে সাতে থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করেছে টাইগ্রেসরা।

পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ জিতে প্রত্যাশা বাড়ালেও এরপর আর জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ হাসি হাসেনি টাইগ্রেসরা। শ্রীলংকার বিপক্ষেও তীরে এসে তরী ডুবিয়েছেন ব্যাটাররা। প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় হতাশা লুকাননি নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘আমরা দুটি নয় অনেকগুলো ম্যাচেই আমাদের জয় পাওয়ার মতো সুযোগ ছিলো। তবে আমরা তা গ্র্যাব করতে পারিনি। দল হিসেবে এটি আমাদের ব্যর্থতা।’

বাংলাদেশ বেশি ভুগেছে ব্যাটিংয়ে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২১২ রান শারমিন আক্তার সুপ্তার। লিগ পর্বে যিনি দশম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। আলাদা ৫ ব্যাটার পেয়েছেন ফিফটির দেখা। কিন্তু বৃষ্টিবিঘ্নিত শেষ ম্যাচের পূর্ব পর্যন্ত টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৬ দশমিক ৬ শতাংশ বল ডট খেলেছে বাংলাদেশ। ৮ দলের মধ্যে বাংলাদেশের স্ট্রাইক রেট টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। জ্যোতিও ব্যাটিং নিয়ে জানালেন হতাশা।

আরও পড়ুন:

নিগার সুলতানা জ্যোতি আরও বলেন, ‘আমার অফ ফর্ম হয়তো দলকে ভুগিয়েছে বেশি। অন্যরা ব্যাটিং করে ভালো স্কোর থাকে যখন। আমি অন্যভাবে ব্যাটিং করতে পছন্দ করি। তাই আমি দলকে ইনক্লুড করতে পারিনি। দলের মধ্যে কিছু ল্যাকিংস রয়ে গেছে।’

বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে এবার আশা ছিলো বেশি। পাকিস্তানের বিপক্ষে মারুফার বোলিং মুগ্ধ করেছিল সবাইকে। টুর্নামেন্টের লিগ পর্বে দ্বিতীয় সেরা ইকোনমি বাংলাদেশের। মেডেন নেওয়ার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের বোলাররা এগিয়ে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার ২৫ মেডেনের পরই বাংলাদেশের ২৩। তবে উইকেট নেয়ার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান আট দলের মধ্যে সপ্তম। বোলাররা প্রত্যাশা কতটা পূরণ করতে পেরেছেন?

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আরেকটু ম্যাচিয়ুরভাবে ক্রিকেট খেললে আমরা ফেরত আসতাম না, সেন্ট্রালি খেলতে পারতাম। বিষয়টি ওভারকাম করতে হলে আমাদের আরও বেশি গ্রো দরকার। বিশেষত মেন্টালি গ্রো দরকার। সামনের বিশ্বকাপ ঘিরে আমাদের প্রিপারেশন নেয়া উচিত।’

এপ্রিলে পাকিস্তানের মাটিতে বিশ্বকাপ বাছাই খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচই খেলেননি টাইগ্রেসরা। এমনকি ২০২৪ সালের শুরু থেকে অস্ট্রেলিয়া ছাড়া আর কোনো বড় দলের বিপক্ষেই খেলেননি জ্যোতিরা। সামনে যেকোনো আসরের আগে আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলার প্রয়োজনীয়তা ভালোভাবেই টের পেয়েছে দল।

এফএস