বাফুফের সঙ্গে চুক্তির সময়সীমা বাড়িয়েছেন কৃষ্ণা-মাসুরা

মাসুরা পারভীন (বামে), কৃষ্ণা রানী সরকার (ডানে)
মাসুরা পারভীন (বামে), কৃষ্ণা রানী সরকার (ডানে) | ছবি: সংগৃহীত
0

ভুটান লিগ শেষে দেশে ফিরেছেন বিদ্রোহ করা ১৮ নারী ফুটবলারের মধ্যে থাকা কৃষ্ণা রানী সরকার, মাসুরা পারভীন। দেশে এসেই বাফুফের সঙ্গে নিজেদের চুক্তির সময়সীমা বাড়িয়েছেন ডিসেম্বর পর্যন্ত। আপাতত এ দুই খেলোয়াড়ের পরিকল্পনা কয়েকদিন বিশ্রামের পর ডিসেম্বরে সাফ ক্লাব নারী চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রস্তুতি শুরু করা।

একযোগে ১৮ নারী ফুটবলারের কণ্ঠে বিদ্রোহের ঘোষণা। মাঠে খেলোয়াড়দের সঙ্গে অসদাচরণ করা, ম্যাচে সিনিয়রদের সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখাসহ কতশত অভিযোগ। একপর্যায়ে জাতীয় দল ছাড়ার হুমকিও দেন সাবিনা খাতুনসহ, মাসুরা পারভিন, কৃষ্ণা রানী সরকাররা। তবে দফায় দফায় বাফুফে-কোচ এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে আলোচনায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও কড়া হেডকোচের গুডবুক থেকে নাম উঠে যায় বিদ্রোহ করা ১৮ নারী ফুটবলারের।

এরপর দেশের ফুটবল ছেড়ে ভুটানে পাড়ি দেন বিদ্রোহ করা নারী ফুটবলারদের বেশ কয়েকজন। তবে সময়ের প্রেক্ষাপটে দলের স্বার্থে একে একে ফিরেছেন ঋতুপর্ণা, মনিকা চাকমারা। তবে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ডাক পাননি মাসুরা পারভীন, কৃষ্ণা রানী, সাবিনা খাতুনরা। কেটে গেছে দীর্ঘ সাত মাস।

অবশেষে ভুটান নারী ফুটবল লীগের পাট চুকিয়ে দেশে ফিরেছেন ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডে খেলা কৃষ্ণা, মাসুরা পারভীন। আছেন বেশ ফুরফুরে মেজাজেও। কারণ দুই খেলোয়াড়েরই চুক্তি বেড়েছে বাফুফের সঙ্গে। শুধু মাসুরা, কৃষ্ণা নন ডিসেম্বর পর্যন্ত চুক্তি বাড়ানো হয়েছে সাবেক অধিনায়ক সাবিনাদেরও। তবে এ লড়াইটা সহজ ছিলো না বিদ্রোহ করা ফুটবলারদের।

আরও পড়ুন:

মাসুরা পারভিন বলেন, ‘আমি তো নিজেরটা নিজে সবসময় বেস্ট বলবো। কিন্তু যারা দেখে তারাই তো বুঝতে পারবে আমার ভেতরে কী কম আছে, কী নাই। ভূটানে আমরা যে ক্লাবে খেলছি, এ ক্লাবের জিম নাই। আমরা নিজেদের টাকা দিয়ে জিম করছি। ফিটনেস ধরে রাখার জন্য যতটুকু সম্ভব আমরা নিজেদের ফিট রাখার চেষ্টা করছি।’

আপাতত কয়েকদিন বিশ্রামের পর ডিসেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠেয় সাফ ক্লাব নারী চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য প্রস্তুতি শুরু করবেন তারা।

তবে জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে স্বল্প সময়ের জন্য নিজেদের শক্তি সামর্থ্যের প্রমাণ নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী করার লক্ষ্য এ নারী ফুটবলারদের।

এসএস