ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ১৯ মাস পর ওয়ানডে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ। রানের দিক থেকে ওয়ানডে ফরম্যাটে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় জয়।
বাংলাদেশের সবশেষ ওয়ানডে সিরিজ জয় এসেছিল গেল বছরের মার্চে, ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এরপর টানা চারটি ৫০ ওভারের সিরিজে পরাজয়ের মুখ দেখে মিরাজ-শান্তরা। অবশেষে দেড় বছর পর জয়ের ধারায় ফিরলো টাইগাররা, ভাঙলো টানা ব্যর্থতার ঘোর।
ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে এই সিরিজ জয়কে স্বস্তির বলে মনে করছেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন।
হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘২০২৩ সালের পর থেকে আমাদের পারফরম্যান্স খুবই ইনকনসিস্ট্যান্ট, একটু আনইউজুয়াল। সময়টা এখন এমন যে আমাদের পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই। আর হোম সিরিজে প্রেশারটা অনেক বেশি ছিল। তবে এ সিরিজে ভালো করাটা আমাদের জন্য খুবই দরকার ছিল।’
সাবেক এ অধিনায়কের মতে, ঘরের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে টিম ম্যানেজমেন্টের চাহিদা অনুযায়ী পিচ বানানোতে দোষের কিছু নেই, তবে বিশ্বকাপে সেরা পারফরম্যান্সের জন্য প্রয়োজন স্পোর্টিং উইকেট।
আরও পড়ুন:
হাবিবুল বাশার বলেন, ‘গত বিপিএলে দেখেন নিয়মিতভাবে ২০০ রান হয়েছে এবং চেজ হয়েছে। এর আগে আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে একটা টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলাম, সেখানে কিন্তু সম্ভবত প্রথমবারের মতো ১০টি উইকেটই ফাস্ট বোলাররা নিয়েছিল। যখন ওয়ার্ল্ডকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টগুলো সামনে চলে আসবে, তখন কিন্তু আবার এরকম উইকেটে খেলা উচিত নয়। তখন আসলে খেলোয়াড়দের এমন কন্ডিশনে খেলানো উচিত যে কন্ডিশনে তারা ওয়ার্ল্ডকাপে খেলবে।’
দলে ওপেনিং পজিশন নিয়ে এখনও রয়েছে দুশ্চিন্তা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে বোলিং ডিপার্টমেন্ট ভালো করলেও বিশ্বকাপের আগেই শক্তিশালী টপ অর্ডার দেখতে চান হাবিবুল বাশার। এছাড়াও, কোচিং প্যানেলে দেশি-বিদেশি সব কোচেরই সমান বোঝাপড়া দেখতে চান সাবেক এ অধিনায়ক।
বাশার বলেন, ‘আমরা কিন্তু ওপেনিংয়ে ধারাবাহিকভাবে পরিবর্তন আনছি। এটা দলের জন্য ভালো নয়। ১, ২ ও ৩ নম্বর কিন্তু স্পেশালাইজড পজিশন, এখানে সেট করতে হবে। এছাড়া কনফিডেন্ট থাকাটা জরুরি, এতে জিনিসটা কাজ করে।’
বিগত বছরগুলোতে ঘরের মাঠে বড্ড অচেনা টাইগাররা। শঙ্কা ছিল বিশ্বকাপে সরাসরি কোয়ালিফাই করা নিয়েও। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজ জিতলেও তাই সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন পরীক্ষা। সেইসঙ্গে, বিশ্বকাপের আগেই যথাযথ টিম কম্বিনেশন দাঁড় করানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।





