সাবেক অধিনায়কদের নিয়ে বিসিবির শীর্ষ কর্তাদের সচরাচর বৈঠক করতে দেখা যায় না। বর্তমান বিসিবি প্রধান সেটাই করলেন। হঠাৎই সাবেক অধিনায়কদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মতবিনিময় সভা করেছেন। এমন উদ্যোগকে ব্যতিক্রম মনে করছেন তারা।
সভায় আমন্ত্রিত সবাই অবশ্য উপস্থিত হননি। তাদের মধ্যে অন্যতম তামিম ইকবাল। আর বিগত সরকারের আমলে সংসদ সদস্য থাকা সাকিব- মাশরাফি দাওয়াত পেয়েছেন কিনা, তা নিয়ে আছে ধোঁয়াশা। যদিও সাবেক এই অধিনায়ক জানালেন সবাইকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
সাবেক অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিস বলেন, ‘বোর্ড সভাপতি বাংলাদেশের পূর্বের সব অধিনায়ককেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সবাই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন তবে কয়েকজন খেলার কারণে দেশের বাহিরে আছেন এই মুহূর্তে। যারা আসতে পারেন নাই তারা সেটা জানিয়েছেন।’
বিপিএলের ১১তম আসরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাপক সমালোচনা শুনতে হয়েছে বিসিবিকে। প্রথম দিকে টিকিট বিক্রি কার্যক্রম আর টুর্নামেন্টজুড়ে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ইস্যুতে বার বার খবরের শিরোনাম হয়েছে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। আগামী আসরগুলোতে কীভাবে আরও ভালো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায়, সভায় এ বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
সাবেক অধিনায়ক রাজিন সালেহ বলেন, ‘আগামীতে বিপিএলে যেন আরো ভালো ফ্র্যাঞ্চাইজি আনা যায়, কীভাবে আরো ভালো টুর্নামেন্ট করা যায় এবং বিদেশি খেলোয়াড়দের আনা যায় এসব বিষয়ে কথা বলা হয়েছে।’
আগামীতে বিপিএলের মান উন্নয়নে সাবেকদের পরামর্শ কাজে লাগাতে চান বিসিবি প্রধান।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আগামী বিপিএল নিয়ে আমরা এখনি কাজ শুরু করে দিয়েছি, আমরা সাবেক অধিনায়কদের ডেকেছিলামম, তারা তাদের মতামত দিয়েছেন। যার মধ্যে থেকে কিছু চমৎকার পরামর্শ উঠে এসেছে। সেগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়ে আগামীতে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। ’
সাবেকদের নিয়ে বিসিবি সভাপতির এমন উদ্যোগ সামনেও অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা সাবেক এই অধিনায়কের।
সাবেক অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফিস বলেন, ‘এই উদ্যোগ অবশ্যই ভালো লেগেছে। আশা করি এ ধরনের উদ্যোগ সামনে অব্যাহত থাকবে।’