তামিমের দুয়ারে তখন কড়া নাড়ছে না ফেরার দেশের চিঠি। জ্ঞান নেই তামিমের, সম্ভাবনার পাল্লা নিম্নমুখী। আকস্মিক খবর শুনে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন চাচা আকরাম খান। ঘোর কাটে ঘণ্টা দেড়েক পর ডাক্তার মারুফের কথায়। তবুও যেন অবিশ্বাস্য লাগে সব।
আকরাম খান বলেন, 'ঘণ্টা দেড়েক পর আমাকে ডাক্তার ফোন করলেন। আমি, স্পেশালাইজড হাসপাতালের ডাক্তার মহিউদ্দিন এবং মারুফ ভাই কনফারেন্সে আমাকে বললেন যে রিং লাগানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছে, তখন আসলে আমি একটু নরমাল হয়েছিলাম। অসুস্থ হওয়ার আগে শেষ দশদিনে সে কিন্তু দুইটা সেঞ্চুরিও করেছে। এটা কল্পনা করা যায় না যে ধরনের কোনো নিউজ শুনবো আর কি।'
বিদেশে নেয়ার কথা চললেও সিদ্ধান্ত এখনও দোদুল্যমান। ডাক্তারদের ভাষ্য, তামিম মাসখানেকের মধ্যে ফিরবেন স্বাভাবিক জীবনে।
আকরাম খান বলেন, 'পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা ওকে বাইরে নিয়ে ভালোভাবে চিকিৎসা করে টেনশনটা একটু রিলিজ হবে আর কি। যে কন্ডিশনের আছে, দুই-তিনদিন এভাবে থাকলে ওকে বাসায় নিয়ে আসতে পারবো। ওর যে মেন্টালিটি আছে সেটা ও সহজেই কাটাতে পারবে। হয়তো এক-দেড় মাস পরেই সে নরমাল অ্যাক্টিভিটিজে চলে আসতে পারবে।'
রমজানের মধ্যে ডিপিএল নিয়ে আপত্তি পুরনো। তামিমের ঘটনায় সেটি আরও জোরদার হয়েছে। তবে বাস্তবতা চিন্তা করে খেলা বন্ধের পরিবর্তে ক্রিকেটারদের রিকভারি সিস্টেম উন্নত করার পক্ষে এই বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
তিনি বলেন, 'খেলোয়াড়রা বিকেএসপিতে যাচ্ছে, যেতে হচ্ছে খুব ভোরে এবং ফেরত আসছে অনেক রাতে। এরপর যে সময়টুকু পায় তাতে মনে হয় না খুব ভালো রিকভারি হয়। ওই জায়গাটায় আমাদের ভাবার সুযোগ আছে। ওইটা আমরা করতে পারলে আমার মনে হয় না রোজা খুব বড় একটা বাধা হয়ে দাঁড়াবে।'
তামিমের ঘটনা হেঁচকা টানে নাড়িয়ে দিয়েছে ক্রিকেটাঙ্গনসহ পুরো দেশকে। আরেকটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সাক্ষী হওয়ার আগে তাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ সময়ের দাবি।