ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

বিপিএলের লভ্যাংশ চায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো, সাড়া নেই বিসিবির

বিপিএলের লভ্যাংশ চায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। তবে এখন পর্যন্ত বিসিবির পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। সাবেক ক্রিকেটাররা মনে করেন, লভ্যাংশ শেয়ার না করায় বাড়ে ফিক্সিংয়ের ঝুঁকি।

বিপিএল আর বিতর্ক; সমার্থক হয়ে উঠেছে। নতুন বাংলাদেশে নতুন বিপিএল বিতর্ক মুক্ত হবে, আয়োজকদের এমন ঘোষণা যেন বুমেরাং হয়ে ফিরেছে। একের পর এক কাণ্ডে এবারের আসর ছাড়িয়ে গেছে আগের সবগুলোকে।

পারিশ্রমিক ইস্যুতে দুর্বার রাজশাহীর নগ্ন চেহারা এরইমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে। তার আগে ব্যাংক গ্যারান্টি আদায়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর গড়িমসি তো আছেই। দলগুলোর এমন অপেশাদার আচরণ বিশ্বব্যাপী বিপিএলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে নিঃসন্দেহে।

রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে বিপিএলের একটা প্রফেশনালিজম আছে। এখানে আমার কাছে মনে হয়েছে টিমগুলোর জন্য কিছু বিষয় আছে যেগুলো আরো উন্নত করা যায়।’

ঢালাওভাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে দোষারোপ করার সুযোগ কই? তাদের দীর্ঘদিনের দাবি, লভ্যাংশ ভাগাভাগির। তবে সেদিকে কোনো ভ্রুক্ষেপই করেনি বিসিবি। ফলে বিপিএলের পেশাদার কোনো কাঠামোই দাঁড়ায়নি। ফ্র্যাঞ্চাইজি আসে আর যায়, বিপিএল চলে বিতর্ক সঙ্গী করে।

চিটাগাং কিংসের স্বত্বাধিকারী সামির কাদের চৌধুরী বলেন,‘টিভি রাইজ বলেন, টিকেটিং রাইজ বলেন, মার্কেটিং রাইজ এগুলো সবকিছুর ক্ষেত্রে একটা রেভেনিউ যা আসে শেয়ারিংয়ের একটা আলাপ করা হয়েছিল। এগুলা ফুলফিল হয় নি। এখন আমি জানিনা কীভাবে এটা কী সিদ্ধান্ত নেবেন। এটা অবশ্যই জরুরি। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সার্ভাইবালের জন্য এটা জরুরি।’

ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর লাভের আশায় গুঁড়ে বালি, পারিশ্রমিক নিয়ে ক্রিকেটার-মালিক পক্ষের টানাপড়েনে সুযোগ খোঁজে তৃতীয়পক্ষ। সক্রিয় হয়ে ওঠে অসাধুরা।

এরইমধ্যে বিপিএলে ফিক্সিংয়ের কালো থাবার গুঞ্জন জোরালো হয়েছে। বেটিং সাইটগুলোতে লেনদেনের খবর চাউর হচ্ছে। এসবই অবহেলার পরিণাম, মনে করেন সাবেকরা।

সাবেক ক্রিকেটার ইশতিয়াক আহমেদ বলে, ‘এখনকার ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো হচ্ছে কমার্শিয়াল। মানেই হচ্ছে রেভিনিউ জেনারেট করা।’

এক এক করে ১১তম আসর চলছে বিপিএলের। এখনও পথ খুঁজে না পেলে আর কবে?

এএইচ