একজন ক্রিকেটার বলেন, ‘ ঈদের আগে একেকজনকে টাকা দেয়া হয়েছে দশ থেকে ১৫ হাজার করে, ঈদ করার জন্য। এগুলো বলতেও আমাদের খারাপ লাগছে, যেখানে রমজান মাসে এত কষ্ট করে আমরা ক্রিকেট খেলি।’
ঘরোয়া ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক না দেয়া যেন নিয়ম বানিয়ে ফেলেছে ক্লাবগুলো। ক্রিকেটারদের আয়ের উৎসে বাধা হয়ে দাঁড়ানো যেন স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্লাব কর্তাদের। আরো একবার এমন নগ্ন আচরণের স্বাক্ষী ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ।
লিগপর্বের শেষপর্যায়ে চলে এলেও এখনও পারিশ্রমিক বুঝে পাননি পারটেক্স স্পোর্টিংয়ের ক্রিকেটাররা। ফলে এবার আন্দোলনে নেমেছেন তারা। বর্জন করেছেন পূর্বনির্ধারিত অনুশীলন। হুমকি দিয়েছেন ম্যাচ বর্জনেরও।
মুক্তার আলী বলেন, ‘আমরা বলেছি যে আমরা দশ শতাংশ পেমেন্টে খেলবো না। আমাদেরকে সম্পূর্ণ পেমেন্ট আজকের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে, তাহলে আমরা খেলতে যাবো।’
জানা গেছে, দুই-একজন ছাড়া বেশিরভাগ ক্রিকেটারই পাননি চুক্তির ৫০ শতাংশ অর্থও। এমনকি বারবার তাগাদা দিয়েও সাড়া মেলেনি ক্লাব কর্তৃপক্ষের। উল্টো প্রতিবাদের মুখে অচেনা ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি করছে ক্লাবটি, এমন অভিযোগ করেছেন ক্রিকেটাররা।
মুক্তার বলেন, ‘আমরা সবাই বিসিবির কাছে সবার স্বাক্ষরসহ একটা অভিযোগপত্র জমা দিয়েছি। আমাদের একটাই দাবি ছিল যে আমাদের পারিশ্রমিকটা আমাদের পরিশোধ করা হোক।’
এ অবস্থায় বিসিবির শরণাপন্ন হয়েছেন ক্রিকেটাররা। আনুষ্ঠানিক অভিযোগও করেছেন। সমাধান পেতে তাকিয়ে আছেন অভিভাবক সংস্থার দিকে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ক্রিকেটারদের পাওনা বকেয়া রাখার নজির বেশ পুরনো। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই আবেদন হারাবে দেশের শীর্ষ ঘরোয়া আসর। তাতে আরও পেছাবে দেশের ক্রিকেট।