ভরদুপুরে হঠাৎ বিসিবিতে হাজির দুর্নীতি দমন কমিশনের একটি অনুসন্ধানী দল। পরে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অফিসে ঘণ্টাখানেক অভিযান চালায় দুদক।
বিভিন্ন জায়গায় রুটিন মাফিক অভিযান চালায় দুদক। তবে বিসিবিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আসে দুদকের অনুসন্ধানী দল।
অনুসন্ধানী দলের একজন বলেন, ‘এখানে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ আছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা এখানে এসেছি, রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে।’
বিগত সরকারের আমলে মুজিববর্ষ পালন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ আছে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে। দুদকের তদন্ত দল জানিয়েছে সেই প্রমাণ মিলেছে অনুসন্ধানে।
অনুসন্ধানী দলের একজন বলেন, ‘দুই বা তিনটা দল শুধু এখানে আবেদন করতো। তা থেকেই তারা বাছাই করতো দুইটা বা একটা দল। কিন্তু এ বছর ফি যখন এক লাখ টাকা করে দিলো তখন ৬০ টা ক্লাব অ্যাপ্লাই করেছে। এখন আমাদের কথা হলো কেন আগের বছরগুলোতে দুইটা বা তিনটা দল অ্যাপ্লাই করতো? আর এখন কেন এক সাথে ৬০ টা দল অ্যাপ্লাই করেছে।’
খেলোয়াড় বাছাই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি, বিপিএলে টিকিটের অর্থ নিয়ে অসঙ্গতিসহ নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিসিবিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অনুসন্ধানী দলের একজন বলেন, ‘বিপিএলের তৃতীয় আসর থেকে দশম আসর পর্যন্ত টিকিট বিক্রির যে আয় তা ১৫ কোটি টাকা দেখানো হয়েছে। কিন্তু বিসিবি যখন নিজেই দায়িত্ব নিলো যে আমরাই টিকিট বিক্রি করবো তখন ১১তম আসরে আয় দেখানো হয়েছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। আট বছরে ১৫ কোটি টাকা আর এবার এক বছরেই ১৩ কোটি টাকা।’
আপাতত তিনটি সুনির্দিষ্ট বিষয়ে তদন্ত চললেও এখনও পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। তাই বিসিবির বিতর্কিত অধ্যায়ের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে আরও অনেক কেলেঙ্কারির অভিযোগ।