ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

নারী ক্রিকেটারদের এক বছরের বেতন বকেয়া, নেই নথিপত্রও

২০২৩ সালের বেতন এখনও পাননি জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন নারী ক্রিকেটার। কেবল তাই নয়, তাদের পাওনার নথিপত্রও নেই বোর্ডের কাছে। বিসিবির নতুন গ্রেডিং সিস্টেম নিয়েও আপত্তি আছে ক্রিকেটারদের। এ বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন বিসিবির নারী উইংয়ের কর্তা।

বিশ্বে যা কিছু সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী,অর্ধেক তার নর। বিদ্রোহী কবির সেই অমর কবিতা, যাতে ফুটে উঠেছে সমাজে নারীর ভূমিকা। তবে যদি বলা হয়, দেশের ক্রিকেটে এই নারীরাই দিনের পর দিন হয়ে যাচ্ছেন অবহেলিত। বৈষম্যহীন বাংলাদেশে এখনো নারী ক্রিকেটাররা বুঝে পান না নিজেদের অধিকারের বেতনটাও।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেয়েদের ব্যাপারে বেশ কিছু পদেক্ষেপ নিয়েছি আমরা। একটু আগে উল্লেখ করেছি আমি। এদের চুক্তিতে এনেছি। সেন্ট্রালের বাইরে ৩০টা মেয়ে। এদের উইনিং বোনাস হবে। স্যালারি ইনক্রিজ এগুলো সবই আমরা আজকে আলোচনা করেছি। নতুন বছরে আরো কিছু স্যালারি ইনক্রিজ হবে।’

নতুন বছরে নারী ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বৃদ্ধিসহ উইনিং বোনাসের ঘোষণা দিয়েছিলেন বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ। নতুন সভাপতির এমন উদ্যোগ নিশ্চয়ই নারী ক্রিকেটের উন্নয়নে রাখবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

তবে ২০২৫ সালে এসেও যে রয়ে গেছে পূর্বের দেনা-পাওনা। দুজন নারী ক্রিকেটার জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে একজনের বেতন বাকি ৭ মাসের আর অন্যজনের পাওনা পুরো বছরের।

ফোনকলে এক নারী ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি তো পাই নি। আমি যখন সাউথ আফ্রিকায় যাই মেয়েরা তখন কনট্রাক্ট পেপারে সিগনেচার করে গেছে, বুঝতে পেরেছেন। আমি এক বছর বেতন পাই নাই। তখন সবারই সিগনেচার নেয়া হয়েছে।’

সঙ্গতকারণেই কণ্ঠ পরিবর্তন করে চালানো হয়েছে সেই নারী ক্রিকেটারের কথোপকথন। কোনো এক অজানা শঙ্কায় ক্যামেরার সামনে কিংবা পরিচয় প্রকাশে ভীতসন্ত্রস্ত তিনি।

জানা গেছে, তৎকালীন নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম নাদেল ও ইনচার্জ তাওহীদ মাহমুদকে বারবার বেতন পরিশোধের অনুরোধ করা হলেও সে ব্যাপারে কর্ণপাত করেননি তারা।

গণঅভ্যুত্থানের পর নাদেলের পলায়ন আর ক্যান্সারে মাহমুদের মৃত্যুর পর ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে পাওনা বেতন নিয়ে। দায়িত্ববানরা না থাকায় বকেয়া বেতনের নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীদের জানিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।

নারী ক্রিকেটারদের বকেয়া বেতনের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন ওমেন্স উইংয়ের দায়িত্বে থাকা হাবিবুল বাশার সুমন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে কোনো ক্লেম আসে নাই। মানে আমি আসার পর থেকে কোনো ক্লেম আসে নাই। কারো যদি পেন্ডিং কেস থাকে অবশ্যই যোগাযোগ করতে পারে। ভয় পাওয়ার তো কিছু নেই।’

এএইচ