প্রায় ২৪০ কোটি টাকা ট্রান্সফার করে নিরাপদ ব্যাংকে রাখলো বিসিবি

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ | ছবি: এখন টিভি
0

ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংকগুলো থেকে প্রায় ২৪০ কোটি টাকা ট্রান্সফার করে তুলনামূলক নিরাপদ ব্যাংকগুলোতে রেখেছে বিসিবি। এখন টেলিভিশনকে নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। নিরাপত্তার পাশাপাশি সুদের হার বাড়ানোয় আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছে বোর্ড। আর এতে বিগত আমলের কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন ফারুক আহমেদ।

দেশের ক্রিকেটে একের পর এক বিতর্কে সবশেষ সংযোজন, বিসিবির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরানোর অভিযোগ। বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিটের প্রায় ১২০ কোটি টাকা বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই অন্য ব্যাংকে সরিয়েছেন সভাপতি ফারুক আহমেদ, একটি দৈনিকের এমন খবরে তুলকালাম কাণ্ড বাঁধে।

এমন খবরের পর তদন্তে নামে এখন টেলিভিশন। আর তাতে জানা যায়, ১২০ কোটি নয়, এর দ্বিগুণেরও বেশি অঙ্ক ট্রান্সফার করা হয়েছে বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে। এখন টেলিভিশনের হাতে আসা এফডিআর স্টেটমেন্টে মেলে এমন তথ্য।

স্টেটমেন্টে দেখা যায়, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নতুন ১৩টি ব্যাংকে নতুন করে এফডিআর খুলেছে বিসিবি। যেখানে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ২৪০ কোটি টাকা ডিপোজিট করা হয়।

এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, আচমকাই কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ফারুক আহমেদ? দলিল বলছে, পতিত সরকারের আমলে যেসব ব্যাংকে টাকা রেখেছিল ক্রিকেট বোর্ড, সেসব ব্যাংকে ইন্টারেস্ট রেট ছিল তুলনামূলক কম।

উদাহরণস্বরূপ, আইএফআইসি ও মিডল্যান্ড ব্যাংকে থাকা বিভিন্ন কিস্তির ১২ কোটি টাকায় ৯ থেকে ১০ শতাংশ হারে সুদ পেত বিসিবি। যেটি মধুমতি ব্যাংকে সরিয়ে নেয়া হয় সাড়ে এগারো টাকা সুদের হারে। ফলে মোটা অঙ্কের আয় বাড়ে বিসিবির।

স্টেটমেন্টে আরও দেখা যায়, সরকারের লাল তালিকাভুক্ত ব্যাংক জনতা, অগ্রণী ও বেসিক ব্যাংক থেকে তুলনামূলক নিরাপদ সবুজ ও হলুদ তালিকাভুক্ত ব্র্যাক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ও প্রাইম ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করেন বোর্ড সভাপতি। যেখানে সুদের হার বাড়ার পাশাপাশি অর্থের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়।

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, ‘১৩টি ব্যাংকে ২৩৮ কোটি টাকা। সব রেড ব্যাংক থেকে নিয়ে গ্রিন ও ইয়োলো তালিকাভুক্ত ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করেছি।’

বিসিবি সভাপতির অভিযোগ, কম হারে ব্যাংকগুলোতে টাকা রেখে মোটা অঙ্কের অর্থ ভোগ করতেন বিগত কমিটির কর্তারা।

ফারুক আহমেদ বলেন, ‘৮ শতাংশ সুদ থেকে সাড়ে ১১ বা ১২ শতাংশ সুদে দিছি। টাকা সরিয়ে নেয়ায় প্রতি মাসে ৫-৬ কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে ফ্যাসিস্টের দোসরদের।'

তবে বেশিরভাগ পরিচালকদের না জানিয়ে এত বড় সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ কি? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, পতিত সরকারের আমলে দায়িত্বে থাকা বেশিরভাগ পরিচালককে সহজে বিশ্বাস করতে পারেননি ফারুক আহমেদ।

ইএ