ক্রিকেট
এখন মাঠে
0

ওয়ানডেতে ভালো না কাটলেও সাদা পোশাকে সেরা সময় টাইগারদের

পছন্দের ফরম্যাট হলেও, ওয়ানডেতে বছরটা মোটেও ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। তিন সিরিজের দুটিতেই হারের লজ্জায় বছর শেষ করতে হচ্ছে। তবে সাদা পোশাকে অন্যতম সেরা সময় কাটিয়েছে টাইগাররা। হারিয়েছে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মত দলগুলোকে। কেমন কাটলো ক্রিকেটের ২০২৪?

টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি! বছরজুড়ে সাদা থেকে রঙিন পোশাকে কতটা উজ্জ্বল টাইগাররা! ক্রিকেটারদের কোনো অর্জনই বা স্মৃতির পাতায় অমলিন রাখবে বিদায়ী বছরকে।

ক্রিকেটে কুলীন ফরম্যাট টেস্ট। সেই লাল বলে টাইগারদের পারফরম্যান্স বরাবরই হতাশাজনক। বছরের শুরু থেকে বড্ড ফ্যাকাশে টাইগাররা। চলতি বছর ১০ ম্যাচে জয় মাত্র তিনটিতে। তবে আগস্টে পাকিস্তান সফরে অবিশ্বাস্যভাবে পরপর দুই ম্যাচে সাফল্যে ঐতিহাসিক হোয়াইটওয়াশে পাকিস্তানের মাটিতে লাল সবুজের কেতন উড়ান মুশফিক, মিরাজরা। সাদা পোষাকে টাইগারদের পারফরম্যান্স আশানুরূপ বলছেন শাহরিয়ার নাফিস।

তিনি বলেন, ‘ওভারঅল দেখলে আমাদের টেস্টের পারফরম্যান্স দেখরে আমাদের কিন্তু খুব ভালো বছর গেছে। আমরা পাকিস্তানকেও হোয়াইটওয়াশ করেছি, আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ান ওয়ান ড্র করেছি। ক্রিকেট বোর্ডের একটা লক্ষ্য ছিল যে টেস্ট ক্রিকেটের বেসকে আমরা স্ট্রং করতে চাই। ওই হিসেবে এই বছরটা আমাদের ওয়ান অফ দ্য মোস্ট সাকসেসফুল ইয়ার।’

ধরা হয় একদিনের আন্তর্জাতিক বাংলাদেশের প্রিয় ফরম্যাট। তবে ওয়ানডেতে নিজেদের হারিয়ে খুঁজতে খুঁজতে বছর শেষ করেছে ফিল সিমন্সের শিষ্যরা। চলতি বছর মাত্র তিন দল ছিল এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ।

যেখানে ঘরের মাটিতে শ্রীলঙ্কা বাদে বাকি দুই সিরিজে লজ্জাজনক হার লাল সবুজের প্রতিনিধিদের। বোলারদের ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। তবে ভবিষ্যতে ভালো করার ব্যাপারে আশাবাদী বিসিবির অপারেশনস কমিটির ইনচার্জ।

শাহরিয়ার নাফিস বলেন, ‘বাংলাদেশ টিম এ বছর খুব বেশি ওয়ানডে খেলেনি। এবং পারফরম্যান্স হয়ত আমাদের আশানুরূপ ছিল না। কিন্তু যেহেতু আমরা বছরটা খুব স্ট্রংলি শেষ করতে পেরেছি আমার মনে হয় খেলোয়াড়রা অনেক কনফিডেন্ট থাকবে। এই কনফিডেন্স নিয়ে তারা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাবে। এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যাপারে আমি খুবই আশাবাদী।’

মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, ‘২০২৪ আমাদের রেজাল্ট অনুযায়ী কিন্তু অতটা ভালো হয়নি। যখনই ফ্ল্যাট উইকেট হয় তখনই কিন্তু রেজাল্ট আমরা নিয়ে আসতে পারি না। একটু ডজি উইকেট হলে আমরা রেজাল্টগুলো আনতে পারি। কিন্তু ট্রু উইকেট হলে আমাদের বোলাররা ওইসময় অফ ফর্মে চলে যান।’

ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে চলতি বছর দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও বিশ্বকাপ মিলিয়ে মোট ২৪টি ম্যাচ খেলে টাইগাররা। বছরজুড়ে আহামরি কোনো সাফল্য না থাকলেও, সবশেষ সিরিজে মিরাজ, জাকেরের চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংয়ে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। সাথে এশিয়া কাপে যুবাদের সাফল্য আগের চেয়ে শক্তিশালী বাংলাদেশ দল তৈরি হওয়ার কথা বলেন শাহরিয়ার নাফিস।

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশ এখন একটা হেলথি পাইপলাইনে আছে। দিনশেষে আমার কাছে মনে হয় এ বছরের সবচেয়ে বড় পাওনা আমাদের নবীন ক্রিকেটাররা আস্তে আস্তে রেসপনসিববিলিটি নিতে শিখেছে এবং তারা দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’

ভালো খারাপের মিশেলে শেষ করা ২০২৪ সাল ক্রিকেট থেকে মুছে ফেলতে না পারলেও আসছে বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিসহ দ্বিপাক্ষিক সিরিজগুলোতে জয় দিয়ে রাঙাবে দল। এমনটাই প্রত্যাশা সাবেক দুই অধিনায়কের।

এসএস