গেলা দুই বছর টানা ক্রিকেটে ব্যস্ত সূচি পার করেছে শান্ত তাসকিনরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আফগানিস্তান সিরিজ স্থগিত হওয়ায় প্রায় দেড় মাসের বিরতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তবে, আগস্ট মাস থেকে আবারও ঠাসা সূচিতে ঢুকে যাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
আগস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে শুরু। তারপর ভারত সফরে যাবে টাইগাররা। অক্টোবরে ঘরের মাঠে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা। নভেম্বর-ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সফরে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
আগস্ট থেকে ডিসেম্বর মোট ৮টি টেস্ট, ৬টি টি-টোয়েন্টি ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে শান্তর দল। তিন ফরম্যাট মিলে ১৭টি ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ক্রিকেটারদের শুধু ম্যাচ ফি'ই দিতে হবে ১১ কোটি ২৮ লাখ টাকা। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচের ফি। যা ৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
তাই একটা বিষয় খুব পরিস্কার, পারফরম্যান্স দিয়ে একজন ক্রিকেটার চলতি বছরের তিন ফরম্যাটের সব ম্যাচ খেলতে পারলে, শুধু ম্যাচ ফি থেকেই আয় করতে পারবে ৯৪ কোটি টাকা।
এর বাইরে সিরিজ চলা অবস্থায় আবাসন ও খাবার বাদ দিয়ে দৈনিক ভাতা ও অনন্য খরচও পাবেন ক্রিকেটাররা। যা আয়ের দিক থেকে একজন ক্রিকেটার ছুঁয়ে ফেলবেন প্রায় কোটি টাকা।
এই সময়ে একজন চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার সিরিজ না খেলতে পারলেও, নিয়ম অনুযায়ী তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে প্রতি মাসের বেতন। সব মিলে একজন ক্রিকেটার আগামী ৫ মাসে ফিটনেস ও পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারলে কোনো প্রকার বোনাস ছাড়াই বিসিবি'র ম্যাচ ফি ও বেতন থেকেই আয় করবে প্রায় ২ কোটি টাকা।