দুই সপ্তাহ পেরিয়েছে লিটনের সমালোচিত সিলেট টেস্টের ওই শট খেলার ঘটনা। কিন্তু দায়িত্বজ্ঞানহীন ওই কাণ্ডের রেশ এখন রয়ে গেছে। ক্রিকেটাররা মেধা, দক্ষতায় দেশের হয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন। সেখানে তাদের আত্মনিবেদনের কোনো ঘাটতি নেই। তাই তারা মোটা অংকের পারিশ্রমিকও পাচ্ছেন। দল জিতলে ব্যক্তিগত ও দলীয় বোনাস পেয়ে থাকেন।
এক টেস্ট খেলেই তারা ম্যাচ ফি ও বোনাস থেকে ৮ থেকে ১৩ লাখ টাকা আয়ের সুযোগ পান। কিন্তু খেলায় দায়িত্বের জায়গায় যখন অবহেলার ছাপ পাওয়া যায়, তখনই উঠে প্রশ্ন। তাই ক্রিকেটারদের যেমন ভালো পারফরম্যান্সের জন্য মোটা অংকের ম্যাচ ফি ও অর্থ বোনাস দেওয়া হয়। ঠিক তেমন জবাবদিহিতার জন্য হলেও ক্রিকেটারদের জরিমানার আওতায় আনার পরামর্শ সাবেক এই বিসিবি পরিচালকের।
বিসিবির সাবেক পরিচালক জি এস হাসান তামিম বলেন, ‘এমন সময় ক্রিকেটাররা বাজে শট খেলে আউট হয়ে যাচ্ছে। আবার এমন গুরুত্বপূর্ণ সময় ক্যাচ ফেলছে, যা একদমই মেনে নেওয়া যায় না।’
ক্রিকেটারদের বিপক্ষে নন সাবেক এই বোর্ড পরিচালক। তিনি একটি প্রক্রিয়ার কথা বলছেন মাত্র। যা বোর্ডের কাছে ক্রিকেটারদের ভালো-মন্দের জবাবদিহিতার একটা মাধ্যম হতে পারে। কারণ, দুই যুগের টেস্ট ক্রিকেটে নেই ধারাবাহিক উন্নতির ছাপ। এলিট ফরম্যাটে ভালো করতে তাই ঘরোয়া ক্রিকেট সূচি ও জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যাতে নিয়মিত অংশ নিতে পারে তার সমন্বয় ক্রিকেট বোর্ডকেই করতে হবে।
এসময় তিনি লঙ্গার ভার্সন ক্রিকেট খেলার সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার দাবিও জানান।
ঘরোয়া ক্রিকেটের লঙ্গার ভার্সনের দুই ফরম্যাট জাতীয় লিগ ও বিসিএলে উইকেটের মান একচেটিয়া না করে স্পোর্টিং করলে হয়তো প্রত্যাশার প্রাপ্তি মিলবে।