বিপিএলের ১২তম আসরে (BPL 12th Season) খালেদ মাহমুদ সুজন কাঁধে নিয়েছেন নতুন দল নোয়াখালী এক্সপ্রেসের দায়িত্ব। এরইমধ্যে সৌম্য সরকার, পেসার হাসান মাহমুদ, ক্যারিবীয় ব্যাটার জনসন চার্লস ও লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিসকে দলে ভিড়িয়েছেন তিনি। বিপিএলে নোয়াখালীর প্রথম আসরেই বাজিমাত করতে শক্তিশালী দল গোছানোর পরিকল্পনা আটছেন সুজন। আর বিপিএল চ্যালেঞ্জে সফল হতে নোয়াখালী ফ্যানদেরকেই বড় শক্তি মানছেন সুজন।
নোয়াখালী এক্সপ্রেসের হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘ঢাকার পাশাপাশি নোয়াখালিও একটি বড় কমিউনিটি। কুমিল্লা, রংপুরের ফ্যানরা খুব জমজমাট থাকত মিরপুর স্টেডিয়ামে। আমি চাই এমন একটি কর্নার থাকুক। নোয়াখালি এক্সপ্রেসের কর্নার থাকবে। যেখানে নোয়াখালীর মানুষদের সাপোর্ট করবে। আমরা এক্সপেক্ট করে ফেলি খুব তারাতারি। তা না করে আমরা যদি স্লো যাই তাহলে চ্যাম্পিয়ন হতে পারব। আর না হলে আমাদের হাতে চার বছর সময় থাকবে।’
বিপিএল নিলামের বাস্তবতা ও প্রাইজমানি নিয়ে অসন্তোষ
তড়িঘড়ি করে আরও একটি বিপিএল আয়োজন (BPL Tournament)। সমালোচনা করলেও বাস্তবতাও স্বীকার করেছেন। দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের প্রাইজমানি নিয়ে আছে অসন্তুষ্টিও।
হেড কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন আরও বলেন, ‘এ বছর অকশনের কথা বলা হচ্ছে। টাকা বেধে দেয়া হচ্ছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। ফ্র্যাঞ্জাইজি ফি থাকবে ১২ কোটি টাকার মতো। আনুষঙ্গিক যে খরচ আছে তা করতে হলে আনুমানিক ১৫ থেকে ১৬ কোটির একটি ধাক্কা আসবেই। এখানে বেসিক প্রাইজ দাঁড়াচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ কোটি। ভালো প্লেয়ার আনতে আরও খরচ হবে। সব মিলিয়ে বেসিক ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা হলে ভালো হতো বলে মনে করি।’
আরও পড়ুন:
ফিক্সিং বিতর্ক: নিলামের আগে তালিকা দেওয়ায় প্রশ্ন
বিপিএলের ফিক্সিং (BPL Fixing Investigation) তদন্তে অনেক দিন ধরেই বেশ কিছু ক্রিকেটারের নাম শোনা যাচ্ছিলো। শেষ পর্যন্ত নিলামের আগের দিন রেড জোনে থাকা ক্রিকেটারদের বাদ দিয়েছে বিসিবি (BCB)। খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন শেষমুহুর্তে তালিকা না দিয়ে আরও আগেই দেয়া উচিত ছিলো।
তিনি আরও বলেন, ‘এ জিনিসটি তো আরও আগেই হওয়ার কথা ছিলো। যদি আপনি অ্যালাউ করেন তাহলে হবে। অ্যালাউ না করলে আগে থেকেই বন্ধ করা উচিত ছিলো। তবে ড্রাফটের আগের দিন কেন আপনি এ ডিসিশনটি নিতে চাচ্ছেন। ব্যবস্থাপনায় তো বোঝা যায় কোথাও হয়তো সমন্বয় হচ্ছে না। এখানে এভিডেন্স কতটুকু আছে এটিও একটি বড় কথা। যদি তাকে ব্যান করেন তাহলে একটি রিজন দিয়ে তাকে ব্যান করতে হবে। যেটিই বিসিবি করবে আশা করি বাংলাদেশের মঙ্গলের জন্যই করবে। তবে জিনিসটি তারাতারি করলে বেটার হবে বলে মনে করি।’
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই লক্ষ্যেই থাকতে চান নোয়াখালী কোচ। তার জন্য দলে চান চ্যাম্পিয়ন প্লেয়ার (Champion Players)। তবে সেটার জন্য আপাতত ফ্র্যাঞ্জাইজি মালিকদের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে খালেদ মাহমুদ সুজনকে।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনার তো যথেষ্টে গোলাবারুদ থাকতে হবে। গোলাবারুদ থাকে না বলেই ডিফিক্যাল্ট হয়। দেখা যাক এ বছর আমরা কতটা ভালো করতে পারি।’
বিপিএল নিলাম ও ফিক্সিং বিতর্ক নিয়ে বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্নোত্তর-FAQ
প্রশ্ন: খালেদ মাহমুদ সুজন আসন্ন বিপিএলে কোন নতুন দলের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন?
উত্তর: তিনি আসন্ন বিপিএলের ১২তম আসরে (BPL 12th Season) নতুন দল নোয়াখালী এক্সপ্রেসের (Noakhali Express) হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
প্রশ্ন: নোয়াখালী এক্সপ্রেস দলে এরইমধ্যে কোন চারজন খেলোয়াড়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে?
উত্তর: দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে: সৌম্য সরকার, পেসার হাসান মাহমুদ, ক্যারিবীয় ব্যাটার জনসন চার্লস ও লঙ্কান ব্যাটার কুশল মেন্ডিস।
প্রশ্ন: বিপিএল চ্যালেঞ্জে সফল হতে সুজন কাদেরকে বড় শক্তি মানছেন?
উত্তর: তিনি ইংল্যান্ডের বার্মি-আর্মি সমর্থকদের মতো নোয়াখালী ফ্যানদেরকেই বড় শক্তি এবং পাশে চান।
প্রশ্ন: বিপিএল আয়োজনের প্রাইজমানি এবং খরচের আনুমানিক হিসাব নিয়ে সুজনের মন্তব্য কী ছিল?
উত্তর: তিনি মনে করেন, অকশনের টাকা ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি (১২ কোটি) সহ আনুমানিক ১৫ থেকে ১৬ কোটির একটি ধাক্কা আসবে। তিনি মনে করেন বেসিক খরচ ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা হলে ভালো হতো।
প্রশ্ন: ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ক্রিকেটারদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সুজন কী প্রশ্ন তুলেছেন?
উত্তর: তিনি মনে করেন, রেড জোনে থাকা ক্রিকেটারদের তালিকা নিলামের আগের দিন প্রকাশ না করে আরও আগেই দেওয়া উচিত ছিল।
প্রশ্ন: নোয়াখালী এক্সপ্রেস দলের জন্য সুজনের চূড়ান্ত লক্ষ্য কী?
উত্তর: নোয়াখালী এক্সপ্রেসকে চ্যাম্পিয়ন করার লক্ষ্যেই তিনি দলে পর্যাপ্ত "গোলাবারুদ" বা শক্তিশালী চ্যাম্পিয়ন প্লেয়ার চান।
প্রশ্ন: সুজন নোয়াখালী এক্সপ্রেসের ফ্যানদের প্রতি কেমন প্রত্যাশা রেখেছেন?
উত্তর: তিনি চান, কুমিল্লা ও রংপুরের মতো নোয়াখালীরও একটি জমজমাট কর্নার মিরপুর স্টেডিয়ামে থাকুক এবং সমর্থকরা যেন তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে সমর্থন দেন।





