দরজায় কড়া নাড়ছে বিপিএলের ১২তম আসরের নিলাম। কিন্তু মাত্র একদিন আগে অনেকটা আকস্মিকভাবেই নিলামের তালিকা থেকে বাদ পড়েন এনামুল হক বিজয়- মোসাদ্দেক সৈকত, আলাউদ্দিন বাবুসহ মোট ৯ জন ক্রিকেটার।
এতে করে দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে সৃষ্টি হয় হুলস্থুল পরিস্থিতির। বাদ পড়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এনামুল হক বিজয়। বিপিএল ফিক্সিং ইস্যুতে তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে নাম শোনা গেলেও নিলাম থেকে বাদ পড়ার পর তিনি অভিযোগের প্রমাণ চান।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটার এনামুল হক বিজয় বলেন, ‘আমরা কি যা তা প্লেয়ার। এতদিন ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটে সার্ভিস দিচ্ছি না? এতটুকু সম্মান নেই। ক্যাটাগরি বি থেকে সি তে নামাই দিছেন। এটাইতো অসম্মানের। সেখান থেকে বিপিএলের নাম থেকে বাদ দিয়ে দিয়েছে। এইটা হইতে পারে কিছু।’
আরও পড়ুন:
অভিযুক্তদের অনেকেই বাদ পড়ার প্রক্রিয়া কিংবা চূড়ান্ত রায় আসার আগেই বিসিবি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিবের ভাষ্য 'রেড ফ্ল্যাগ' বলেই তাদেরকে বাদ দেয়া হয়েছে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেন, ‘যতক্ষণ না প্রমাণ হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কাউকে দোষী বলতে পারি না। যেহেতু রেড ফ্ল্যাগ সেক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্সের জন্য এসব প্লেয়ার নিলামে লিস্ট হবে না। বিপিএলকে ক্লিন রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত।’
শুধু অভিযুক্ত ক্রিকেটাররাই নয়, ম্যাচ অফিশিয়ালস এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জন্যও থাকছে কঠোর নিয়ম-নির্দেশনা।
তিনি বলেন, ‘বিদেশি খেলোয়াড়দেরও আমরা ক্লিয়ারেন্স নিয়েছি। আমরা যদি কোনো প্লেয়ারে ব্যাপারে অভিযোগ পায় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ফিক্সিং ইস্যুর এমন তোলপাড়ের মধ্যেই অবশ্য বিসিবিতে সম্পন্ন হয়েছে বিপিএল নিলামের প্রি-অকশন। যেখানে সব ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এবারের নিলামে খুব বেশি স্বস্তিতে থাকবেন না মালিকপক্ষ। এ ও বি ক্যাটাগরি থেকে কমপক্ষে ২ জন, সি ও ডি ক্যাটাগরি থেকে ৬ জন ও ই ক্যাটাগরি থেকে ৩ জন ও এফ ক্যাটাগরি থেকে কমপক্ষে ১ ক্রিকেটার কিনতে হবে তাদের। যেখানে ভিত্তিমূল্যের বাইরে ২ কোটি ১৯ লাখ টাকা হাতে থাকবে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি।





