জাতিসংঘ সদর দপ্তর নিউ ইয়র্ক। বিশ্বনেতাদের মিলনমেলায় এবারও অংশ নিচ্ছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে এটি তার দ্বিতীয়বারের অংশগ্রহণ। তবে এবারের সফর কেবল বক্তৃতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না রয়েছে কৌশলগত কূটনৈতিক পরিকল্পনাও।
বিশ্বনেতাদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করে তুলে ধরবেন অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের প্রেক্ষাপট এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পথে সরকার কী ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ দূতাবাস প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তজা বলেন, ‘মূল উদ্দেশ্য থাকবে অ্যাসেম্বলিতে বক্তব্য দেওয়া। সারাবিশ্বের উদ্দেশ্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভাষণ দেবেন।’
এবার বিশেষ দৃষ্টি থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফিরে আসা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে রয়েছে ড. ইউনূসের পুরনো যোগাযোগ। এবার সেই সম্পর্ক কাজে লাগতে পারে বাংলাদেশের কৌশলগত সমর্থন ও রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ে।
আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপসহ বিশ্বের বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও হবে দেখাসাক্ষাৎ। আলোচনায় থাকবে মানবাধিকার, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ দূতাবাস প্রেস মিনিস্টার গোলাম মোর্তজা বলেন, ‘দীর্ঘ সময় বাংলাদেশে নির্বাচন হয়নি। গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জায়গাটিতে সরকারের ভূমিকা কী তারা কী করেছে? বাংলাদেশে যে দুর্নীতি, অনিয়ম, সন্ত্রাস, লুটপাট এগুলো বিষয় যে সরকার বন্ধ করেছে এমন নানা ধরণের বিষয় থাকবে।’
বাংলাদেশ এখন কেবল একটি নির্বাচন নয়, খুঁজছে দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা এবং ভবিষ্যতের নেতৃত্বের প্রতি জনআস্থার ভিত্তি। জাতিসংঘে ড. ইউনূসের এ উপস্থিতি সেই বহুমাত্রিক প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠছে। যা প্রতিধ্বনিত হচ্ছে দেশের ভেতরেও।




