বিবৃতিতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গণমাধ্যম দুটিতে হামলার ঘটনায় পরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপানোকে ‘অপচেষ্টা’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময় গণমাধ্যম ও স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’
তারা গণমাধ্যমের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত মনে করেন বলেও বিবৃতিতে জানানো হয়।
তারা বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড ছাত্রশিবির কখনোই সমর্থন করে না। অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় হলো—একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে দৈনিক ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর কার্যালয়ে সংঘটিত ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের দায় ছাত্রশিবিরের ওপর চাপিয়ে দিয়ে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র ও অপরাজনীতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আরও পড়ুন:
তারা আরও বলেন, সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি ও রাকসু ভিপি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারির ব্যক্তিগত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা চালানো হয়। সংশ্লিষ্ট বক্তব্যগুলো ছিল সম্পূর্ণ তাদের ব্যক্তিগত। এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা নিজ নিজ বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন এবং বক্তব্যের ক্ষেত্রে অনিচ্ছাকৃত ‘স্লিপ অব টাং’ এর বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এটা ছাত্রশিবিরের কোনো অফিসিয়াল বক্তব্য বা অবস্থান নয়। আমরা স্পষ্ট ঘোষণা করছি, গণমাধ্যমে কিংবা কোনো সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে হামলার সঙ্গে ছাত্রশিবিরের দূরতম কোনো সম্পর্ক নেই। পাশাপাশি এ ধরনের হামলার ঘটনা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। আশা করি অপপ্রচারের কারণে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি অবসান হবে।
সংশ্লিষ্ট ঘটনার নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত দাবি করে তারা বলেন, গণমাধ্যম ও জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বানও জানান তারা।
শহিদ ওসমান বিন হাদির শাহাদাতের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে তারা বলেন, সব অবস্থায় আমাদের ধৈর্য, প্রজ্ঞা, দায়িত্বশীল আচরণ ও জাতীয় ঐক্যকে প্রাধান্য দেয়া দরকার।





