এ্যানি বলেন, ‘আগে বলেছে হাসিনা পালায় না, পরে পালিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের সবাই পালিয়ে যায়নি। হাসিনা শুধু তার আত্মীয়-স্বজনকে আগেই বাহির (বিদেশে) করে দিয়েছে। হাসিনা আত্মীয়-স্বজন সবাইকে এমপি-মন্ত্রী বানিয়েছে। তাদেরকে টাকার বস্তা নিয়ে হাসিনা আগেই ভাগিয়ে দিয়েছে যে— “তোরা আগে বাঁচ, আঁইতো আঁর মতো করে পালাইয়ুম”। আওয়ামী লীগের অনেকেই পালাতে পারেনি, অনেকে জেলে গেছে। তারা এখনও দেশের বাহিরে বসে ষড়যন্ত্র করছে।’
তিনি বলেন, ‘একটা বড় রাজনৈতিক দলের নেত্রী শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে হবে কেন। ভালো কাজ করে নাই। দুর্নীতি, দুর্বৃত্তায়ন ও দুঃশাসন করছে। ওই যে মুজিব বাহিনী, লাল বাহিনী, রক্ষী বাহিনীর স্টাইলে কাজগুলো করে মানুষকে শান্তি দেয়নি। মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। মানুষের ওপর হামলা করেছে, মানুষকে গুম-খুন করেছে। লুটপাট করেছে, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। যার কারণে হাসিনা গণশত্রু, গ্রামের শত্রু এবং দেশের শত্রুতে পরিণত হয়েছে।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘হাসিনার বিচার শুরু হওয়ায় একটা লকডাউন দিছে। ১৭ নভেম্বর বিচারের রায় দেবে। লকডাউন দিছে, কিন্তু তাদের কর্মসূচিতে পাবলিক নেই। পাবলিক তো তার পক্ষে নেই, পাবলিক লকডাউন করতে নামেওনি। আর্টিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স (এআই) দিয়ে দেখাচ্ছে যে, তার লকডাউনে মিছিল হচ্ছে। আসলে এটি এআই ছিল, এটা প্রকৃত না, বাস্তব না, এটা ভুয়া।'
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘তবে কিছু চোরাগোপ্তা হামলা করছে, এটা সত্য। গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, আর না হলে পেট্রোল বোম মারছে। একসময় হাসিনা বলেছিল, যারা গাড়িতে বাসে আগুন দেবে, তাদের ধরে ধরে ওই আগুনে ফেলে দেবে। এখন কী করা দরকার?’
উত্তরে নারীরা বলে উঠেছেন- ‘তাকে (হাসিনা) এনে আগুনে ফেলে দিতে হবে।’
শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘এসব হাসিনার অপকর্ম। এ হলো বিদেশে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, এগুলো থাকবে। যুদ্ধ মোকাবিলা করতে করতে বাংলাদেশ চলছে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাসিবুর রহমান, বাফুফে সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, আবুল হাশেম, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেরা আনোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়াসহ আরও অনেকে।





