২০০১ সালে দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হোন। পরবর্তীতে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। দীর্ঘসময় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকা এবং জিয়া পরিবারের উত্তরসূরি তারেকের এবারই কোনো ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম অংশগ্রহণ হতে যাচ্ছে। নানা প্রতিকূলতা, দলের নির্বাচনে অংশ না নেয়া, দেশের বাইরে এক প্রকার নির্বাসিত থাকায় তারেক রহমানের বাংলাদেশের নির্বাচনে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ এতদিন ছিলো না।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়া ‘বিএনপির ঘাঁটি’ হিসেবে পরিচিত দলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই। ১৯৯১ সালে বগুড়া-৭ এবং ১৯৯৬ সালে বগুড়া-৬ আসনে নির্বাচন করছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। সংসদ নির্বাচনের এই দুইটি আসনে কখনো হারেননি তিনি।
আরও পড়ুন:
২০০৭ সালে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দায়ের করে তৎকালীন সরকার। একই বছরের ৭ মার্চ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার গ্রেপ্তার করে তারেক রহমানকে। গ্রেপ্তারের পর তারেক রহমানকে র্যাবের বুলেটপ্রুভ ভেস্ট ও হেলমেট পরিয়ে আদালতে তোলা হয়। যে দৃশ্য দেখে চমকে উঠেছিলেন অনেকে। সে সময় তাকে দশ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয় এবং বিএনপি দাবি করেছিল, রিমান্ডে অমানবিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল তারেক রহমানকে।
২০০৮ সালে ৩ সেপ্টেম্বর কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হোন তারেক রহমান এবং ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি। কথিত আছে, রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে তারেক রহমানকে বিদেশ যেতে অনুমতি দেয় তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার।
দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে তিনি বিএনপির নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এ সময়ে ২০০৯ সালে তিনি দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন। ২০১৮ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারা অভ্যন্তরীণ হলে তারেক রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মনোনীত হোন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর প্রায় সব মামলা থেকে অব্যাহতি পান তারেক রহমান। ফলে দেশে ফিরতে এবং নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই তারেক রহমানের।
ত্রয়োদেশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারেক রহমানের অংশ নেয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত বিএনপির নেতাকর্মীরা। এরইমধ্যে বগুড়া-৬ আসনে আনন্দ মিছিল করে নেতাকর্মীরা। দলটির নেতাকর্মীরা বলছে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রস্তুত তারা। সর্বোচ্চ ভোটে তারেক রহমানকে জয়ী করার প্রত্যাশাও তাদের কণ্ঠে।
সাধারণ ভোটাররাও আশা করছেন, তারেক রহমান নির্বাচিত হলে উন্নয়নবঞ্চিত বগুড়ায় আবারও উন্নয়নের জোয়ার বইবে।
বিএনপির বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, নভেম্বরের শেষেই দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান। তিনি দেশে আসার পরই নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নামবেন।





