আহমেদ আযম খান বলেন, ‘এই মুহূর্তে পিআর নিয়ে যারা আন্দোলন করছে, যারা আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনকে ভন্ডুল করতে চাচ্ছে, তারা দেশের অশুভ শক্তি, তারা দেশের অগণতান্ত্রিক শক্তি। তারা দেশকে আবারও ফ্যাসিবাদের দিকে টেনে নিয়ে যেতে চায়। তাদের বিষয়ে সমগ্র জাতির সাবধান হতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন হবে কি না এ প্রশ্নটা রাজনৈতিক দলগুলোর ভেতরে কেন আলোচনা হচ্ছে? আমি মনে করি এ মুহূর্তে নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। যখন ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা হয়, তখন কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পিআরের প্রশ্ন কেউ-ই তোলেনি।’
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনার সময় কেউ-ই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআরের দাবি করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা শুধুমাত্র আপার হাউজের দু’একটি দল দাবি করেছিল। বিএনপি বলেছে, এ ব্যাপারে জাতি প্রস্তুত নয়, এটার জন্য সময় নিতে হবে। তবে এ মুহূর্তে এটা চিন্তা করার অবকাশ নেই।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন না হলে দেশের গণতন্ত্রের পথে এগোনো যাবে না। দেশটাকে উন্নয়নের পথে দেয়া যাবে না। দেশের অর্থনীতির চাকা এখন যেভাবে আছে তা বেশি দূর এগোনোর নয়, এ চাকা সচল হবে না, সম্মৃদ্ধির পথে যাবে না। তাই আমি মনে করি, যে দু’একটি দল এ পিআরের কথা বলছে বা নির্বাচন পেছানোর নানা রকমের ফন্দিফিকির করছে, সেটা ঠিক নয়।’
দেশের প্রশ্নে দলগুলোকে নির্বাচনের মাঠে আসতে, পিআরের এ ধোয়া-তোলা থেকে বিরত থাকতে, দেশপ্রেমিকের পরিচয় দেয়ার আহ্বান জানাবেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এর বাইরে দেশের গণতন্ত্র পথের যাত্রায় নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন— জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক নূরনবী আবু হায়াত খান নবু, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান তুহিন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ পিন্টু, উপজেলা বিএনপির মহিলা দলের সভাপতি রাশেদা সুলতানা রুবি, অ্যাডভোকেট দেওয়ান হুমায়ূন কবির রিপন, উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল হাশেম, ছাত্রদল নেতা নাহিদ খান, আজিজুল ইসলাম বিজয় প্রমুখ। পরে তিনি উপজেলা মডেল মসজিদ হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।





