গাড়িবহরের শোডাউন, ছোট-বড় সমাবেশ কিংবা উঠান বৈঠক। এবারের ঈদে জমজমাট রাজনীতি।
কারো ছিল আত্মপ্রকাশের মৌসুম। কারো অস্তিত্বের জানান দেয়া। কারো বা সামর্থ্যের মহড়া। সব মিলিয়ে এবারের ঈদ যেন গণসংযোগে মোড়া।
রাজনৈতিক মাঠে দীর্ঘ সময় নিপীড়িতদের জন্য ছিল মুক্ত বসন্ত। পলাতক, গুম ও গ্রেফতার আতঙ্কে কাটানো দেড় যুগ শেষে বহুল কাঙ্ক্ষিত স্বস্তির উৎসব।
সদ্য আত্মপ্রকাশ করা এনসিপির প্রথম ঈদ ছিল মিশ্র অভিজ্ঞতার। তাদের ছিল মানুষের আকাঙ্ক্ষা অনুসন্ধান আর ভোটের রাজনীতি আয়ত্তে আনার চ্যালেঞ্জ।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আমাদের দল সম্পর্ক বা তরুণদের নিয়ে মানুষের চাওয়া কী সেটা আমার পক্ষে জানা সম্ভব হয়েছে।’
তুলনামূলক কম অভিজ্ঞ দলগুলোর জন্য ছিল সংসদীয় আসন পরিক্রমা পাঠের সময়। চেষ্টা ছিল তৃণমূলের সমস্যা ও সম্ভবনা অনুসন্ধানের।
এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘এবারের ঈদ ছিল আমার গ্রাম বা আমার সংসদীয় আসনের ভূগোলটা বুঝা। আসলে এইটা কেমন। সেখানকার সার্ভিসটা বুঝার চেষ্টা করেছি। শত শত কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গিয়েছে।’
ভোটের মাঠে তুলনামূলক অভিজ্ঞ দলগুলোর জন্য ছিল প্রতিযোগিতার উৎসব। অনুকূল পরিবেশে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর উপলক্ষ্য হিসেবে নিয়েছিলো জামায়াত।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘এবারের ঈদে জামাত সহজে মানুষের কাছে যেতে পেরেছে। যা মানুষের প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধির একটা পরিবেশ ছিল।’
আর ভোটের মাঠে এগিয়ে থাকা বিএনপির জন্য ছিল জন সমর্থন যাচাইয়ের উপলক্ষ্য। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের জন্য ছিল নির্দেশনাও।
বিএনপি প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু বলেন, ‘জনগণের সাথে সুখ দু:খের আলাপ করেছি। জনগণের প্রবল সাড়া পেয়েছি বিএনপির। প্রত্যক্ষভাবে তা দেখেছি।’
দীর্ঘ সময় পর হলেও ভিন্ন মতের দলগুলোর গণসংযোগের সমান সুযোগকে ইতিবাচক রাজনীতির সূচনা হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।