দীর্ঘ ১৫ বছর পর প্রকাশ্যে এমন জনসভা করতে পেরে উচ্ছ্বসিত নারায়ণগঞ্জের জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমর্থকরা। জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল, নিষিদ্ধ কিংবা আওয়ামী শাসনামলে কোণঠাসা হয়ে যাওয়া দলটি হাসিনা পতনের পর এমন বড় পরিসরের সমাবেশ সফল করতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সকাল থেকেই জড়ো হয় জেলার ওসমানী পৌর স্টেডিয়াম মাঠে।
সমাবেশে যোগ দেয়া কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, বিচার ও সংস্কার ছাড়া নির্বাচনের জন্য কেউ জীবন দেয়নি। সংস্কারের পরেই নির্বাচন হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের কথা বলে সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। পালিয়ে গিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।
এসময় বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি হচ্ছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, চাঁদাবাজি বন্ধ না হলে শহীদদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হবে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে তরুণ সমাজ আবারো যুদ্ধে নামবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।
আগামীতে সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে শিক্ষা, কৃষি ও শিল্পখাত পুনর্গঠনের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির বাংলাদেশ নির্মাণের কথা জানায় নেতারা।