রমজানের আমেজে সেজেছে ঢাবির প্রতিটি হল

রমজানের আমেজে সেজেছে ঢাবির প্রতিটি হল | এখন টিভি
0

উত্তাল জুলাইয়ের পর শান্ত সুনিবিড় এবারের রমজানের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রাঙ্গণ। প্রতিটি আবাসিক হলে যেন উৎসবের আমেজ। বাধাহীন উদযাপন উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা। বলছেন, স্বাধীনভাবে উদযাপনে এবারের রমজান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

জুলাই আগস্টে যে প্রাঙ্গণ ছিল উত্তাল, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল উৎকণ্ঠা। সে আঙিনা এখন স্নিগ্ধ আর বর্ণিল। স্বাগত রামাদান ২০২৫।

চাঁদ-তারা, মসজিদের মিনার। রমজান থিমে রঙিন ব্যানার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হলে যেন উৎসবের আমেজ। আলোকসজ্জায় তৈরি হয়েছে এক অন্য আবহ। তিন যুগ ধরে মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে চাকরি করা ফজলুল হক শিকদারের চোখে এক অন্য রমজানের শুরু।

ফজলুল হক বলেন,' মার চাকরির ৩৬ বছর চলে। এখন যেভাবে হল সাজানো হচ্ছে, রকমভাবে কোনোসময় সাজানো দেখিনি আগে।'

আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলছেন, শুধু ইবাদত নয় আনন্দ আর ঐতিহ্য রক্ষার কাজটাও করতে চান তারা।

একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'হল কর্তৃপক্ষ থেকে সুন্দর একটি গেট করা হয়েছে। এই বিষয়টা বেশি ভালো লাগছে আমাদের। এবং এখানে যে রমজান আছে সেটা মন থেকে ফিল হচ্ছে।'

অন্য একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'রমজান শুধু ইবাদতের মাস না, এটি আনন্দের মাস হিসেবে আসে, রহমত, বরকত নিয়ে আসে আমাদের মাঝে। যখন আমরা হাসিনা পরবর্তী সুযোগ পেয়েছি তখন আমাদের পুরোনো ঐতিহ্যগুলো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এতে করে আমরা পরবর্তী প্রজন্মকে জানিয়ে দিতে পারি যে আমাদের এরকম একটি কালচার ছিল যেটা আমরা দীর্ঘকাল ধরে দেখতে পারি না।'

ইফতার, সেহরিতে ধর্ম চর্চা ও উদযাপনের স্বাদ উপভোগ করছেন হলের শিক্ষার্থীরা।

পতিত সরকারের সময়ে নানাভাবে নির্যাতিতদের জন্য এক স্মরণীয় রমজান এবার। ঐক্যবদ্ধভাবে নিজস্ব ধর্মীয় উৎসব পালনের প্রত্যয় তাদের।

জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব মাহিন সরকার বলেন, 'আমাদের এই আলোকসজ্জা বার্তা দেয় যে আমরা এক এবং ঐক্যবদ্ধ আছি এবং ইনশাআল্লাহ এটাই বজায় থাকবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সবসময় একটা ভয়ভীতি কাজ করতো, বিশেষ করে এরকম অনুষ্ঠান বা এরকম আলোকসজ্জা কখনও শিক্ষার্থীরা এক এবং ঐক্যবদ্ধভাবে করতে পারেনি। এখানে কিন্তু নান মতের শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে হলের মধ্যে অবস্থান করছে। এটি আসলে ফ্যাসিস্টমুক্ত আমাদের প্রথম রমজান এবং আমাদের কাছে স্মরণীয়, মরা এরকম কখনও পাইনি।'

এসএস