এসময় নিরাপদ বাংলাদেশ চাই প্ল্যাটফর্মের মুখপাত্র রায়হান উদ্দীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠক তারেকুজ্জামান, অ্যাক্টিভিস্ট ফরহাদ শাকিব ও হোটেল রয়েল বীচের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নুরুল আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের বর্তমান সমস্যা ও ছয় লেনে উন্নীত করার যৌক্তিকতা তুলে ধরে নিম্নোক্ত নয়টি দাবি তুলে ধরা হয়।
১. অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে অবিলম্বে ছয় লেনে উন্নীত করার ব্যবস্থা গ্রহণ ও দ্রুত বাস্তবায়ন।
২. মহাসড়কের বিপদজ্জনক স্থানগুলোতে, বিশেষ করে জাঙ্গালিয়ার মতো দুর্ঘটনাপ্রবণ বাঁকগুলোর নকশাগত পরিবর্তন আনয়ন করে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানো।
৩. পৃথক এক্সপ্রেস লেন, ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন ও ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করা।
৪. পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ ও পর্যটন মৌসুমে অতিরিক্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।
৫. স্মার্ট ট্রাফিক সিস্টেম চালু ও নিয়মিত তদারকি করা, যাতে বিপজ্জনক বাঁকগুলোতে ডিজিটাল সাইনবোর্ড ও ট্রাফিক লাইট স্থাপন করা যায়।
৬. অন্তর্বর্তীকালীনভাবে মহাসড়কের সংস্কার, প্রশস্তকরণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।
৭. মহাসড়কে লবণবাহী ট্রাক চলাচলের জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়ন করে রাস্তা পিচ্ছিল হওয়ার সমস্যা দূর করা।
৮. পর্যটন মৌসুমে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা জোরদার করা।
৯. হাটবাজার ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ওভারপাস ও আন্ডারপাস নির্মাণ।
উপদেষ্টা দাবির আলোকে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক সংস্কার ও ছয় লেনে উন্নীত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছেন।