গ্রীষ্মকাল মানেই বাহারি সুস্বাদু ফলের সমাহার। আম, কাঠাল, লিচুর মৌ মৌ ঘ্রাণ চারপাশে। তাই বাজারগুলোতে ফলের ডালি সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা।
খুলনার বাজারের বিভিন্ন দোকানে শোভা পাচ্ছে সাতক্ষীরার গোবিন্দভোগ আম আর বেশ কয়েক জাতের লিচু। প্রথম দিনেই গোবিন্দভোগ আম খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকায়। যা আগের বছর বিক্রি হয়েছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে জাত ও মান ভেদে ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত। যদিও মৌসুমের প্রথম ফল তাই বেশি দামে কিনছেন ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুমের শুরুতে বাজারে সাতক্ষীরার আম আসতে শুরু করেছে। রাজশাহীর আম বাজারে আসলে দাম কিছুটা কমবে বলছেন তারা।
ক্রেতারা বলেন, দাম কমলে মানুষ বেশি করে কিনবে। সবার খাওয়ার চাহিদাও বাড়বে। অন্যসব বছরের তুলনায় লিচুর দাম অনেক বেশি। আমের দামও অনেক বেশি।
চট্টগ্রামের খুচরা বাজারেও মিলছে আম-লিচুর মতো রসালো সব ফল। তবে দেশি ফলের সরবরাহ বাড়ায় সেখানে কমতে শুরু করেছে বিদেশি ফলের চাহিদা। বর্তমানে বাজারে ২৫০ টাকার চায়না আপেল বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। মাল্টা কেজিতে ৬০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।
বিক্রেতারা বলেন, বর্তমানে সাতক্ষীরা থেকে আম আসতেছে। পরে হিমসাগর-ল্যাংড়া আম আসলে দাম কমবে। কাস্টমারের চাহিদা এখন আম, লিচু ও কাঠালের দিকে। এজন্য অন্যগুলোর দাম কম।
দেশে আমের চাহিদার বড় অংশ পূরণ হয় রাজশাহীর আম থেকে। তবে রাজশাহীতে এখনও আম পাড়ার সময়সূচি প্রকাশ না করায় বাজারে দেখা মিলছে না মৌসুমি এই ফলের। যদিও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, ১৫ মে থেকে বাজারে আসতে শুরু করবে গুটিজাতের আম এবং ২৫ মে থেকে ১ জুনের মধ্যে আসবে উন্নত জাতের গোপালভোগ, লখনা, রানিপছন্দ ও খিরসাপাত আম। এরপর একে একে বাজারে মিলবে ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি ও আশ্বিনার মতো আমগুলো।
এক আম চাষি বলেন, এবারে আম কিছুটা দেরি করে আসছে। এখন আমরা আম প্যাকেটিং করছি।
এবছর রাজশাহী জেলার ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিজুড়ে আমের বাগান করা হয়েছে। যেখানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ১৬৪ টন আম।