আজ (শনিবার, ৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার নিজ বাসভবন যমুনায় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর মার্কিন শুল্কারোপ ইস্যু নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে জরুরি বৈঠকের পর এই তথ্য জানানো হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘নতুন শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা নিজেই কথা বলবেন। এবং আমদানি বাড়িয়ে বাণিজ্য ঘাটতি কমানো হবে।’
তিনি বলেন, 'তৈরি পোশাক খার আরো ইতিবাচক ধারায় ফিরবে কারণ বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরো বেশি। এছাড়া ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে পোশাক আরো বেশি মানসম্মত।'
যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানিতে ৭৪ শতাংশ শুল্কারোপের তথ্যটি সঠিক নয়,পরিমাণটি ৩ শতাংশের কম হবে বলে জানান তিনি।
বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া রয়েছেন। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমানসহ আমদানি-রপ্তানি বিশেষজ্ঞরা অংশ নিয়েছেন।
আরো পড়ুন:
গত বুধবার (বাংলাদেশি সময় বুধবার দিবাগত রাত ২টা) হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন করে শুল্ক ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই ঘোষণায় বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশি পণ্যে এতদিন গড়ে ১৫ শতাংশ করে শুল্ক ছিল। এতে শঙ্কায় পড়েছেন পোশাক খাত দেশের অন্যান্য রপ্তানি খাতের ব্যবসায়ীরা।
পরদিন বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ বিষয়ে জানান, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক পুনর্বিবেচনা করতে এনবিআর কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘এটি যুক্তিসঙ্গতভাবে কমাতে পারলে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কারোপ সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।’
আরো পড়ুন:
একইদিন প্রেস সচিব শফিকুল আলম অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যু সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে দূঢ় আশা প্রকাশ করেছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, 'আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। যেহেতু এটি আলোচনাযোগ্য, তাই আমরা আলোচনা করব এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা সর্বোত্তম সমাধানে পৌঁছাতে পারব।'
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রধান দুই রপ্তানি বাজারের একটি যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের