ভোটার হওয়া ঠেকাতে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার তথ্য দেবে ইউএনএইচসিআর

দেশে এখন
0

ভোটার হওয়া ঠেকাতে তালিকাভুক্ত ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গার তথ্য নির্বাচন কমিশনকে দিতে একমত হয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর। আজ (বুধবার, ১৯ মার্চ) বিকেলে ইসি সচিবালয়ে এনআইডি কর্মকর্তাদের বৈঠকে এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে সংস্থাটির। রোহিঙ্গাদের তথ্য কমিশনকে সরবরাহ করতে এরই মধ্যে কারিগরি টিমও গঠন করা হয়েছে।

২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে নিজ দেশে নিপীড়িত হয়ে বাংলাদেশে পাড়ি জমায় সাত থেকে আট লাখ রোহিঙ্গা। এরপর বিভিন্ন সময় ঢুকেছে রোহিঙ্গারা। সব মিলিয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার নিশ্চিত সংখ্যা জানা না গেলেও বলা হয় এই সংখ্যা ১২ থেকে ১৩ লাখ।

জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন ইউএনএইচসিআরের হিসেবে এই সংখ্যা প্রায় দশ লাখের বেশি। এই পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বিভিন্ন সময়ে আলাপচারিতা হলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ হয়নি।

অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ছাড়াও রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে এনআইডি ও পাসপোর্ট নেয়ার অপচেষ্টা চালায়। ভোটার হওয়ার চেষ্টাও করছে অনেকে। তাই রোহিঙ্গাদের সহজে শনাক্ত করতে জাতিসংঘের হাতে থাকা রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিকসহ ডাটাবেইস ব্যবহার করতে চায় ইসি।

বুধবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন ভবনে ইউএনএইচসিআরের সাথে এনআইডি কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা হয় রোহিঙ্গাদের ডাটা নির্বাচন কমিশনের সাথে ভাগাভাগিসহ কয়েকটি বিষয়ে।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, 'আমরা আমাদের আর্জেন্সিটা বলেছি। যেহেতু আমাদের এখন সামনে নির্বাচন আসছে, আমাদের ভোটার রেজিস্ট্রেশনের কাজ চলছে এবং রোহিঙ্গারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে, তারা আমাদের এই সিস্টেমে আসার জন্য বা আইডি বা পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। আমরা যতদ্রুত এই ডাটা পাবো তত আমাদের জন্য কল্যাণকর। এটা রোহিঙ্গাদের জন্যও ভালো।'

এনআইডি ডিজি জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলমান থাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাটা পেলে রোহিঙ্গা শনাক্ত করতে সুবিধা হবে।

এ এস এম হুমায়ুন কবীর বলেন, 'আমার কাছে মনে হচ্ছে যে আমাদের ডেটা খুব সিকিউরডলি আমরা মেইনটেইন করতে পারছি। মডালিটি ঠিক হলে আসলে জানা যাবে যে, কীভাবে আমরা ব্যবহার করবো। আমরা মনে করছি যে এটা ব্যবহার করতে পারলে আমাদের সিস্টেম বা আমাদের এই ডেটা আরও বেশি অথেনটিক হবে।'

এসময় তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের ডাটার ব্যবহার নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নির্বাচন কমিশন এবং ইউএনএইচসিআর এর সমন্বয়ে টেকনিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।

এসএস