পণ্যের দাম বৃদ্ধির বিপরীতে অযুহাত দাঁড় করানো নতুন কিছু নয়। জেলা টাস্কফোর্সের মত বিনিময় সভাতেও তেলের মূল্য বৃদ্ধির বিপরীতে যুক্তি দাঁড় করা নিয়ে শুরু হয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে ব্যবসায়িদের বাদানুবাদ।
রোজার আগে থেকেই অস্থিতিশীল সয়াবিন তেলের বাজার। সংকট পাশাপাশি বেড়েছে খোলা ভোজ্যতেলের দাম। অথচ আমদানি হয়েছে চাহিদার চেয়েও বেশি। দেশে রোজায় সয়াবিন তেলের চাহিদা তিন লাখ টন। অথচ কেবল জানুয়ারি মাসেই আমদানী হয়েছে চার লাখ টন। তারপরও বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট তৈরি করে দাম বৃদ্ধির পাঁয়তারা ব্যবসায়ীদের।
প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, 'ব্যবসায়ীদের যদি কারসাজি না থাকে তাহলে এই সয়াবিন তেল কীভাবে ভোক্তা পর্যায়ে ১৫০ তেকে ২৩০০ টাকায় বিক্রি হয়? কয়টা পরিবেশক তাদের উপজেলা পর্যায়ে আছে, কয়টা পরিবেশক মহানগরে আছে। এবং তাদের পরিবেশক কোথায় কোথায় এই পণগুলো দিচ্ছে।'
দাম বৃদ্ধির জন্য বাজার থেকে এস আলম কিংবা বসুন্ধরার মত কোম্পানির কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়াকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা। দেশের নানান প্রান্ত থেকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা তেল কিনে অবৈধ মজুত করে কারসাজির অভিযোগও করেন।
বড় বড় কোম্পানিগুলো তেল আমদানি করেও তা মার্কেটে চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করছে না বলেও অভিযোগ করেন কেউ কেউ। এ অবস্থায় ডিও বিক্রেতাদের কাছে নির্ধারিত দিনেই পণ্য সরবরাহের কথা জানানো হয়।
দীর্ঘ প্রায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় বৈঠকের পর বুধবার থেকে মিল গেইটে ১৫৩, পাইকারীতে ১৫৫ এবং খুচরায় ১৬০ টাকায় তেল বিক্রির সিদ্ধান্তে সম্মত হন সবাই। এ সিদ্ধান্ত আগামী ১০ এপ্রিল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।
চসিকের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, 'এই পণ্যের দাম প্রতি লিটারে ১৫৩ টাকা, আপনারা যারা ট্রেডার্স আছেন তারা ১৫৫ টাকা প্রতিলিটার। আর বাইরে খুচরা মূল্য ১৬০ টাকা প্রতিলিটার।'
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, 'কেউ চাইলে এই দামের নিচে বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু এটার বেশি করা যাবে না। এটা রমজান সামজুড়েই চলবে।'
সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে প্রশাসন। বর্তমানে চট্টগ্রামের বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে লিটারে ১৯৫ থেকে ২০০ টাকায়।