নগদের বিরূদ্ধে ২৩শ' কোটি টাকার অনিয়মের খোঁজ পেয়েছে দুদক

দেশে এখন
0

মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদে দুই হাজার তিনশ' কোটি টাকার অনিয়মের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে অনুমোদনহীন ৬০০ কোটি টাকা ই-মানি এবং তহবিল থেকে এক হাজার ৭০০ কোটি টাকা সড়ানোর প্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। এর বাইরে নগদের শেয়ার ধারণেও কারসাজির প্রমাণ মিলেছে বলে জানান দুদুক।

সম্প্রতি মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নগদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারসহ বেশ কয়েকটি অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বুধবার দুপুরে বনানীতে নগদের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে দুদকের একটি তদন্ত দল।

প্রায় ঘণ্টা খানেকের অভিযানে নগদের লেনদেনের বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে দুর্নীতি দমন কমিশন। যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে তিনটি অনিয়মের কথা তুলে ধরেন নগদের প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা বদিউজ্জামান দিদার। যার মধ্যে দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকার অনিয়মের কথা জানান তিনি।

নগদের প্রশাসন পরিচালক বদিউজ্জামান দিদার বলেন, 'নগদ বা এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর যে ডিস্ট্রিবিউটার চ্যানেলটা থাকে, সেদিক দিয়ে তারা ই-মানি কার্যক্রম পরিচালনা করে। সেখান দিয়ে কটা প্যারালাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম তৈরি করে বেশকিছু ফান্ড সরিয়ে ফেলেছে বলে আমার মনে হয়। কটা হচ্ছে ই-মানির কমতি আমরা দেখেছি ৬০০ কোটি টাকার উপরে। আর ফান্ড সরিয়ে গিয়েছে সেটা এক হাজার ৬০০ কোটি থেকে ক হাজার ৭০০ কোটি টাকা।'

নগদের ৭০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে। আর এই বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থ পাচার হয়েছে কিনা এ নিয়েও তদন্ত চলছে বলে জানান দুদকের তদন্ত দল। একইসাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি।

দুদকের উপ-পরিচালক তানজির আহমেদ বলেন, 'নগদের অনিয়ম দুর্নীতির যে চিত্র, আমাদের কাছে একটা অভিযোগ ছিল বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ ছিল। আমরা সে অভিযোগ নিয়ে কাজ করতে এসেছি, এসেত নথিপত্র সবকিছুই পেয়েছি।'

এরইমধ্যে নগদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডাক বিভাগের নয় কর্মকর্তাসহ মোট ২৪ জন এই মামলার অভিযুক্ত।

এসএস