শুধু জুলাই-আগস্টের আন্দোলনেই নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে প্রায় দেড় হাজারের বেশি মানুষকে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। তারও আগে বিগত ১৬ বছরের গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। সকল অভিযোগ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে ঘিরে। আগামী নির্বাচনে তারা অংশ নিতে পারবে কিনা, এই প্রশ্নটা এখন নানাভাবেই চাওড় হচ্ছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বলছেন, জুলাই গণহত্যার সাথে জড়িতরা নির্বাচনে বা আবার ক্ষমতায় আসুক, তা চায় না দেশের সাধারণ মানুষ।
আজ (মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি) নির্বাচন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোটার্স ফোরাম ফর ইলেকশন এণ্ড ডেমোক্রেসি আয়োজিত আরএফইডি টকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি জানান, গুম, খুনসহ যারা গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে যুক্ত ছিলেন, তারা যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই সুপারিশ করা হয়েছে সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, 'যারা গুরুতর মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, ফেরারি আসামি, যারা আমাদের নির্বাচনের ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার ব্যাপারে ভয়াবহ ভূমিকা পালন করেছে তারা যেন নির্বাচনী অঙ্গন থেকে বিতাড়িত হয়। এটা আমরা চেষ্টা করেছি।'
নির্দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। লেজুরবৃত্তিক ছাত্র শিক্ষক রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর বিদেশি শাখা বন্ধসহ দলগুলোর অভ্যন্তরে গণতন্ত্র সুসংহত করাসহ নানা ধরনের সুপারিশও দেয়া হয়েছে।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, 'আমরা লেজুরবৃত্তিক ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি, রাজনৈতিক দলের কথা বলেছি, শ্রমিক সংগঠন বিলুপ্ত করার কথা বলেছি, বিদেশি শাখা বিলুপ্তের কথা বলেছি। নতুন দলের নিবন্ধন সহজ করার কথা বলেছি। পাঁচ বছর পরপর দলের নিবন্ধন নবায়ন করার কথা বলেছি। এবং দলের আর্থিক অডিট রিপোর্ট জনগণের কাছে উন্মুক্ত করার কথা বলেছি।'
গত তিন নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার জন্য দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতা আনার জন্য তদন্ত কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন।
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, 'গত তিনটি নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের বাইরের কথা আমাদের সংবিধানের আওতায় ভাবাও যায় না।'
প্রার্থীরা তাদের প্রচারণায় কোনো পোস্টার ব্যবহার করতে পারবেন না। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সকল প্রার্থীকে সমান সুযোগ দেয়া হবে। এমন সুপারিশ এসেছে সংস্কার কমিশনের পক্ষ থেকে।