দেশে এখন
0

অব্যাহত নদী ভাঙনে ছোট হয়ে আসছে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া

অব্যাহত নদী ভাঙনে ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। প্রতিবছর বসতভিটা হারিয়ে চরাঞ্চলে মানবেতর জীবনযাপন করছে হাজারো পরিবার। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই ভাঙন ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় হতাশ দ্বীপবাসী। দ্রুত টেকসই বাঁধ না দিলে বিশাল ভূখণ্ড বিলীনের শঙ্কা স্থানীয়দের।

বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা মেঘনার বুকে জেগে ওঠা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। প্রায় তিনশো বছর বয়সী এই দ্বীপে ৮ লাখের বেশি মানুষের বসবাস।

কিন্তু ভাঙনের কবলে পড়ে সম্ভাবনাময় এই দ্বীপের মূল ভূখণ্ড হুমকির মুখে। মেঘনার অব্যাহত ভাঙনে এরই মধ্যে বিলীন হাতিয়ার এক চতুর্থাংশ জায়গা। যা প্রতিবছরই বাড়ছে।

এরইমধ্যে কয়েক দফা বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব কয়েক হাজার পরিবার। দ্রুত ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা না নিলে মানচিত্রে থেকে হারিয়ে যাওয়ার শঙ্কা হাতিয়াবাসীর।

একসময় শুধু বর্ষায় ভাঙলেও এখন বছর জুড়েই চলে এই নদী ভাঙন। বছরের পর বছর চলা ভাঙনে বিলীন হচ্ছে হাতিয়ার চানন্দী, নলচিরা, চরকিং ও চরঈশ্বর ইউনিয়নের হাজারো পরিবার। এরপরও কার্যকরী কোন উদ্যোগ না নেয়ায় হতাশ দ্বীপবাসী।

এমন অবস্থায় হাতিয়ার নদী ভাঙন রোধে সরকার নতুন করে দুই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।

স্থানীয়রা জানান, ৬০-এর দশক থেকে হাতিয়ার নদী ভাঙন সমস্যা তীব্র হতে থাকে। প্রতিবছর ভাঙনের কবলে এই জনপদের অন্তত শতকোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।

এএইচ