নদী ভাঙনে নিঃস্ব ঝালকাঠির শতাধিক পরিবার
বছরের পর বছর নদী ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছেন ঝালকাঠির শতাধিক পরিবার। গত ২৫ বছরে দফায় দফায় বসতভিটা বদলাতে হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের। বন্যা পরবর্তী সময়ের ভাঙনে এসব পরিবারের চোখে-মুখে এখন ভিটেমাটি হারানোর ভয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
বন্যা পরবর্তী সময়ে সুনামগঞ্জে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন
বন্যার পর এবার ভয়াবহ নদী ভাঙনে দিশেহারা সুনামগঞ্জবাসী। বছরের পর বছর মোটা অঙ্কের ব্যয় করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না ভাঙন। এদিকে, তিন দফা বন্যায় প্রায় ২৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখনও কোনো সরকারি আর্থিক সহায়তা পাননি ক্ষতিগ্রস্তরা।
নদী ভাঙনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ফেনীবাসীর দিনযাপন
ফেনীতে তীব্র আকার ধারণ করেছে নদী ভাঙন। জেলার ছোট ফেনী, সিলোনিয়া ও কালীদাস পাহালিয়া নদীর অন্তত ৪০টি স্থানের অব্যাহত ভাঙনে এরইমধ্যে বিলীন হয়েছে বসতি, কৃষি জমি ও সড়ক। এ অবস্থায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন ভাঙন কবলিতরা। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, মুছাপুরে রেগুলেটর পুনঃনির্মাণ না করা পর্যন্ত ভাঙন রোধ করা যাবে না।
নড়াইলের নবগঙ্গা ভাঙনে নদীগর্ভে অর্ধশতাধিক বসতভিটা
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বর্ষা মৌসুমে নবগঙ্গা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। গত ১৫ দিনের অব্যাহত ভাঙ্গনে নদীগর্ভে চলে গেছে অর্ধশতাধিক বসতভিটার কাঁচাপাকা ঘর, গাছপালাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। আর ভাঙনে রয়েছে অন্তত তিন শতাধিক বসতবাড়ি, পাকা রাস্তা, কবরস্থান, মসজিদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এতে আতঙ্কে নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
ভৈরবে মেঘনা নদীতে ভাঙন, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিয়ে ঝুঁকি
ভৈরবে মেঘনা নদীতে কেপিআই এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। নদী ভাঙনের ফলে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকার অনেক বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বসত-বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় অনেকেই গৃহ ও কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ব্যাপক ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। ভাঙন রোধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা স্থানীয়দের।
দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নদ-নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন
পানি কমার সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নদ-নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বাঁধ ভেঙে প্রতিদিনই বিলীন হচ্ছে একরের পর একর ফসলি জমি। বসত ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা যথেষ্ট নয় বলছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অনেকেই।
'নদী ভাঙন নিয়ে পরিকল্পনা করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড'
বৃষ্টি কিংবা উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ভাঙন কবলিতের তালিকা ভারি হচ্ছে প্রতিবছর। জমা পলিতে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের তলদেশ ভরাট হয়ে ভাসিয়ে নেয় জনপদের পর জনপদ। নদী ভাঙন নিয়ে পরিকল্পিত পরিকল্পনা করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাই বানের আগে বস্তা ফেলে অর্থের অপচয় না করে পরিকল্পিতভাবে খনন আর নদী ব্যবস্থাপনার দাবি গবেষকদের।
মধুমতী নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে জমি-ঘরবাড়ি
প্রতি বছরের মতো এবারও, বর্ষা মৌসুমে মধুমতী নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। গত ১৫ দিনের অব্যাহত ভাঙ্গনে নদীগর্ভে চলে গেছে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থাপনা। আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না এ অঞ্চলের নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। নিজ গ্রাম ছেড়ে তারা চলে যাচ্ছেন আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে।
বর্ষার শুরুতেই তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে জামালপুরে
বর্ষার শুরুতেই তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে জামালপুরের যমুনা তীরবর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলায়। ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা, বসত বাড়ি, ফসলি জমি। ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধান চান ভুক্তভোগীরা।
বর্ষার শুরুতেই আতঙ্কে পড়েন নদী তীরবর্তী মানুষ
বর্ষার শুরুতেই কুড়িগ্রামে আতঙ্কে পড়েন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। নানা অনিশ্চয়তায় কাঁপতে থাকে তাদের বুক। একদিকে চলে বন্যার হানা। অন্যদিকে পানি কমলে দেখায় ভাঙনের নির্মমতা। চোখের সামনে বিলীন হয় ভিটেমাটি, গাছপালা, জমি-জিরাত। বর্ষা আসে বর্ষা যায়- তবে বদলায় না নদী কপালিয়া মানুষের ভাগ্যের রেখা।
খোয়াই নদীর বাঁধে ভাঙন, রুদ্ররূপে কুশিয়ারা
হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার ওপরে ওঠায় শহরের জালালাবাদ এলাকায় প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। তবে এটি অস্থায়ী বাঁধ হওয়ায় বড় ধরণের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।
সুনামগঞ্জ-মৌলভীবাজারে বাড়ছে বন্যা আতঙ্ক
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দ্রুত বাড়ছে সুনামগঞ্জের ২৬টি নদ-নদীর পানি। এরই মধ্যে ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট। বিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ। মৌলভীবাজারেও একই অবস্থার পাশাপাশি রয়েছে নদী ভাঙনের শঙ্কা। এমন অবস্থায় স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।