
নদীতীরে চলছে বাঁধ নির্মাণ, স্থায়ীত্ব নিয়ে সংশয়
প্রতি বছরই ছোট হয়ে আসছে ভোলার মানচিত্র। ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয় শত শত পরিবার। প্রতি বর্ষাতেই দ্বীপ জেলাটির এমন চিত্র দেখা যায়। এবারও নদীর তীর থেকে বালু তুলে, ঠিক সেই তীরেই চলছে বাঁধ নির্মাণের কাজ। যদিও কাজের স্থায়ীত্ব নিয়ে আছে অভিযোগ। ফলে নতুন নতুন প্রকল্প নেয়া হলেও সমাধানটা থেকে যাচ্ছে ধোঁয়াশায়। প্রশ্ন থেকেই যায়, প্রকল্পের নামে এই বিশাল ব্যয় কি সত্যিই নিরাপত্তা দিচ্ছে?

নদীভাঙনে বিপর্যস্ত জামালপুরের হাজারো মানুষ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জে যমুনা নদীর বাম তীরে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। অসময়ের ভাঙনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে নদীপাড়ের হাজারো মানুষ। দেড় মাসে বিলীন হয়েছে ৬ কিলোমিটার অংশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি আর ফসলি জমি। জরুরিভাবে কিছু জিও ব্যাগ দিয়ে ডাম্পিং করা হলেও টেকেনি এক দিনও। এ ছাড়া গত ৫ বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ নির্মাণসহ বেশ কিছু প্রকল্প চলমান থাকলেও মেলেনি সুফল।

অবৈধ বালু উত্তোলনে ফেনীতে বাড়ছে নদী ভাঙন
ফেনীতে অবাধে চলছে নদী থেকে বালু উত্তোলন। এতে বাড়ছে নদী ভাঙন। এজন্য প্রভাবশালী সিন্ডিকেটকে দুষছেন স্থানীয়রা। বলছেন, এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে নদীতে বিলীন হয়ে যাবে ঘরবাড়ি।

অব্যাহত নদী ভাঙনে ছোট হয়ে আসছে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া
অব্যাহত নদী ভাঙনে ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। প্রতিবছর বসতভিটা হারিয়ে চরাঞ্চলে মানবেতর জীবনযাপন করছে হাজারো পরিবার। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এই ভাঙন ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ না থাকায় হতাশ দ্বীপবাসী। দ্রুত টেকসই বাঁধ না দিলে বিশাল ভূখণ্ড বিলীনের শঙ্কা স্থানীয়দের।

নদী ভাঙনে নিঃস্ব ঝালকাঠির শতাধিক পরিবার
বছরের পর বছর নদী ভাঙনে নিঃস্ব হচ্ছেন ঝালকাঠির শতাধিক পরিবার। গত ২৫ বছরে দফায় দফায় বসতভিটা বদলাতে হয়েছে ক্ষতিগ্রস্তদের। বন্যা পরবর্তী সময়ের ভাঙনে এসব পরিবারের চোখে-মুখে এখন ভিটেমাটি হারানোর ভয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন রোধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।

বন্যা পরবর্তী সময়ে সুনামগঞ্জে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন
বন্যার পর এবার ভয়াবহ নদী ভাঙনে দিশেহারা সুনামগঞ্জবাসী। বছরের পর বছর মোটা অঙ্কের ব্যয় করেও বন্ধ করা যাচ্ছে না ভাঙন। এদিকে, তিন দফা বন্যায় প্রায় ২৫ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখনও কোনো সরকারি আর্থিক সহায়তা পাননি ক্ষতিগ্রস্তরা।

নদী ভাঙনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ফেনীবাসীর দিনযাপন
ফেনীতে তীব্র আকার ধারণ করেছে নদী ভাঙন। জেলার ছোট ফেনী, সিলোনিয়া ও কালীদাস পাহালিয়া নদীর অন্তত ৪০টি স্থানের অব্যাহত ভাঙনে এরইমধ্যে বিলীন হয়েছে বসতি, কৃষি জমি ও সড়ক। এ অবস্থায় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন ভাঙন কবলিতরা। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, মুছাপুরে রেগুলেটর পুনঃনির্মাণ না করা পর্যন্ত ভাঙন রোধ করা যাবে না।

নড়াইলের নবগঙ্গা ভাঙনে নদীগর্ভে অর্ধশতাধিক বসতভিটা
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বর্ষা মৌসুমে নবগঙ্গা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। গত ১৫ দিনের অব্যাহত ভাঙ্গনে নদীগর্ভে চলে গেছে অর্ধশতাধিক বসতভিটার কাঁচাপাকা ঘর, গাছপালাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। আর ভাঙনে রয়েছে অন্তত তিন শতাধিক বসতবাড়ি, পাকা রাস্তা, কবরস্থান, মসজিদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এতে আতঙ্কে নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

ভৈরবে মেঘনা নদীতে ভাঙন, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নিয়ে ঝুঁকি
ভৈরবে মেঘনা নদীতে কেপিআই এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। নদী ভাঙনের ফলে মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকার অনেক বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। বসত-বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় অনেকেই গৃহ ও কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ব্যাপক ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে এ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। ভাঙন রোধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা স্থানীয়দের।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নদ-নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন
পানি কমার সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নদ-নদীতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বাঁধ ভেঙে প্রতিদিনই বিলীন হচ্ছে একরের পর একর ফসলি জমি। বসত ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও তা যথেষ্ট নয় বলছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অনেকেই।

'নদী ভাঙন নিয়ে পরিকল্পনা করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড'
বৃষ্টি কিংবা উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ভাঙন কবলিতের তালিকা ভারি হচ্ছে প্রতিবছর। জমা পলিতে যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের তলদেশ ভরাট হয়ে ভাসিয়ে নেয় জনপদের পর জনপদ। নদী ভাঙন নিয়ে পরিকল্পিত পরিকল্পনা করেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। তাই বানের আগে বস্তা ফেলে অর্থের অপচয় না করে পরিকল্পিতভাবে খনন আর নদী ব্যবস্থাপনার দাবি গবেষকদের।

মধুমতী নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে জমি-ঘরবাড়ি
প্রতি বছরের মতো এবারও, বর্ষা মৌসুমে মধুমতী নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম। গত ১৫ দিনের অব্যাহত ভাঙ্গনে নদীগর্ভে চলে গেছে ফসলি জমি, ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থাপনা। আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না এ অঞ্চলের নদী পাড়ের বাসিন্দাদের। নিজ গ্রাম ছেড়ে তারা চলে যাচ্ছেন আশপাশের বিভিন্ন গ্রামে।