শিক্ষা
দেশে এখন
0

শতভাগ বই দিতে না পারায় শিক্ষা উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ

বছরের প্রথম দিন নতুন বই বিতরণ শুরু হয়েছে। তবে শতভাগ বই পেতে ২০ জানুয়ারির পর্যন্ত সময় লাগবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এদিকে শতভাগ বই দিতে না পারায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আর এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেছেন, বছরের পর বছর বই উৎসবের নামে অপচয় হয়েছে। এবার পাঠ্যপুস্তকে জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি স্থান পেয়েছে।

কী আছে নতুন বইয়ে? পাঠ্যসূচিতে কি? ভেতরের ছবিগুলো কেমন? নতুন বছরের প্রথম দিনে এমন কৌতূহলী মনে নতুন বই হাতে পেয়ে একেকটি পাতা উল্টিয়ে বইয়ের গন্ধ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাদের তৈরি বিতর্কিত ২০২১ এর শিক্ষাক্রম বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমের ৪৪১ টি বই পরিমার্জন এবং টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে সরকার ইতোমধ্যে ১৫ শতাংশ বই পৌঁছে দিয়েছে মাঠ পর্যায়ে। পুরোনো কারিকুলামে ফিরে যাওয়ায় এবার ৬ কোটি ৭৯ লাখ বই বেশি ছাপাতে হচ্ছে সরকারকে।

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা শতভাগ বই না পেলেও কেউ একটি কেউ দুটি বা তিনটি করে বই পেয়েছে। রাজধানীর একেক স্কুলের চিত্র একেক রকম।

শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘আমার খুব ভালো লাগছে নতুন বই হাতে পেয়ে।’ আরেকজন বলেন, ‘নতুন বইয়ের ঘ্রাণ কেন জানি আমার কাছে ভালো লাগে।’

বিগত সময়ে নিম্নমানের বইয়ে সারাদেশ সয়লাব থাকলেও এবার বইয়ের মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা।

অভিভাবকদের একজন বলেন, ‘বিগত বছর থেকে এবারের বইয়ের মান অনেক ভালো।’

আজিমপুর গভ. গার্লস স্কুল অ্যান্স কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ছালাহ্ উদ্দীন বলেন, ‘এবার আমরা একটা আশার আলো দেখছি। যা শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক দেখছি।’

এ বছর প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের সাড়ে ৪টি শিক্ষার্থীর জন্য ৪০ কোটি ১৫ লাখ বই বিতরণের লক্ষ্য সরকারের। সেখানে কেবল ৬ কোটি বই দিয়ে বছর শুরু হলো। এবার জুলাই বিপ্লবের গ্রাফিতি স্থান পেয়েছে পাঠ্যবইয়ে।

নানা সীমাবদ্ধতার কারণে বছরের প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে সকল বই বিতরণ না করতে পেরে দুঃখপ্রকাশ করেন শিক্ষা উপদেষ্টা। বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন উদ্বোধন করেন তিনি।

শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অনেক সময় কম ছিল তার মাঝে অনেক বইয়ের পরিমার্জন করা হয়েছে।’

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, ‘প্রতি বছর বই উৎসবের নামে অপচয় করা হয়েছে। সে পথে এবার হাটেনি অন্তর্বর্তী সরকার।’

তিনি বলেন, ‘এবারের বইয়ের উজ্জ্বলতা ও কাগজের মান ভালো। আড়াই মাসের মধ্যে ৪৪১টি বই পরিমার্জন করা হয়েছে, যার অনলাইন ভার্সন এনসিটিবির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।’

৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের বাকি বই, ১০ তারিখের মধ্যে মাধ্যমিকের আটটি বই এবং ২০ জানুয়ারির মধ্যে শতভাগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছে এনসিটিবি চেয়ারম্যান।

ইএ