নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতে আলাদা ফি নির্ধারণ, বেশি নিলে ব্যবস্থা

শ্রেণিকক্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা
শ্রেণিকক্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা | ছবি: এখন টিভি
0

২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির নীতিমালায় মেট্রোপলিটন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা ফি নির্ধারণ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বেশি নিলে নেয়া হবে ব্যবস্থা। শিক্ষাবিদরা বলছেন, সরকার নিয়ম করলেও সঠিক তদারকি না থাকায় অতিরিক্ত ফি নেয়ার সুযোগ পায় অনেক প্রতিষ্ঠান। এবারও ভর্তির সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের অবসর ভাতা ও কল্যাণ ট্রাস্টের তহবিলের জন্য ১০০ টাকা করে নেয়ার নিয়ম রাখা হয়েছে।

প্রতিবছর স্কুলে ভর্তির সময় অতিরিক্ত ফি আদায়, ধারণ ক্ষমতার বেশি শিক্ষার্থী ভর্তিসহ নীতিমালার নিয়ম ভেঙে ভর্তির অভিযোগ আসে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে শহরের নামি-দামি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের অভিযোগ বেশি আসে।

নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতি শ্রেণি শাখায় শিক্ষার্থী সংখ্যা হবে ৫৫ জন। এছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ভর্তি ফি ৫ হাজার টাকা, আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৮ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফি সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নিতে পারবে। উন্নয়ন খাতে কোনো প্রতিষ্ঠান ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না বলেও উল্লেখ আছে নীতিমালায়। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পরবর্তী ক্লাসে ভর্তির ক্ষেত্রে সেশন ফি সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা নেয়ার নিয়ম থাকলেও পুনঃভর্তি ফি নেয়া যাবে না।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এবারও নির্ধারিত ফি'র চেয়ে বেশি নেয় কিনা সেই শঙ্কা অভিভাবকদের। অভিভাবকরা জানান, প্রতি বছর অতিরিক্ত ভর্তি ফি রাখলেও সে অনুযায়ী সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন:

ভর্তির নীতিমালায় অনুযায়ী এবারও ভর্তির সময় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের অবসর ভাতা ও কল্যাণ ট্রাস্টের তহবিলের জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা করে নেয়ার নিয়ম করা হয়েছে।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, সরকার নিয়ম করলেও সঠিক তদারকি না থাকায় অতিরিক্ত ফি নেয়ার সুযোগ পায় অনেকে। এবার আগে থেকেই সতর্ক করার পরার পরামর্শ ড. মোস্তাফিজুর রহমানের।

শিক্ষা গবেষক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘অতিরিক্ত ফি নিলে এটা একটা জুলুম হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষায় দরিদ্র মানুষের যে অ্যাক্সেস সে জায়গায় অ্যাক্সেসটা কমিয়ে দিচ্ছে। এটা যদি চলতে থাকে আর দেশের যা অবস্থা এ অবস্থায় লোকজন বাচ্চাগুলোর পড়াশোনা বা স্কুলের ভর্তি বা রি-এডমিশন এগুলো কমে আসবে। ফলে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে অনেকেই।’

এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর বি. এম. আব্দুল হান্নান বলেন, ‘প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয় সে উদ্দেশেই কিন্তু এ নীতিমালাটা প্রণয়ন করা। সেক্ষেত্রে যদি কোনো প্রতিষ্ঠান এ নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করে তাহলে এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মন্ত্রণালয়।’

দেশের সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ ডিসেম্বর।

ইএ