দেশে এখন
0

ভাঙ্গা-বেনাপোল সড়ক চার লেন না হওয়ায় ভোগান্তিতে ১০ জেলার মানুষ

ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল সড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ না হওয়ায় পদ্মাসেতুর সুফল পাচ্ছে না অন্তত ১০ জেলার মানুষ। সড়কের অবস্থা নাজুক হওয়ায় ভারি যানবাহন চলাচলে তৈরি হয়েছে ভোগান্তি। যানজটে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। তবে সড়কটি দ্রুত সময়ে ছয়লেনে উন্নীত করা হবে বলছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

পদ্মা ও মধুমতি সেতু উদ্বোধনের পর যাতায়াত সহজ হয় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের। তবে সরু সড়কে বেনাপোল থেকে যশোর-নড়াইল হয়ে ভাঙ্গা যেতে ভোগান্তি রয়ে গেছে এই অঞ্চলের মানুষের।

ঢাকা থেকে পদ্মাসেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত এক্সপ্রেস সড়ক নির্মাণ করা হলেও ভাঙ্গা থেকে নড়াইল যশোর হয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর পর্যন্ত ১২৯ কিলোমিটার সড়ক এখনও সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সব থেকে খারাপ অবস্থা নড়াইলের মধুমতী সেতু থেকে যশোর পর্যন্ত ৫৬ কিলোমিটার সড়কের।

চলাচলকারীরা বলছেন, সরু সড়ক ও ভাঙাচোরা অবস্থায় বিপরীতমুখী দু'টি বাস পাশাপাশি যাতায়াত করতে পারছে না। ফলে এই সড়কের যানবাহন রাজধানী ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জ ও খুলনা হয়ে ৮৬ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরে বেনাপোল স্থলবন্দরে যাচ্ছে। যাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টার রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগছে সাত থেকে আট ঘণ্টা। একইসঙ্গে সেতু চালু হওয়ায় এই সড়কে বেড়েছে গাড়ির চাপ। ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ফলে পদ্মা ও মধুমতী সেতুর কাঙ্ক্ষিত সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অন্তত ১০টি জেলার লাখো মানুষ।

একজন যাত্রী বলেন, 'যদি রাস্তাটা প্রশস্ত হয় তাহলে গাড়িগুলো সহজে যেতে পারবে। ফলে আমাদের সময়টা বাঁচবে।'

একজন বাসচালক বলেন, 'আমরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। গাড়ির চাকা দ্রুত নষ্ট হচ্ছে। তেল খরচ বেশি হচ্ছে। বেশি টাকা লাগছে যাতায়াতে আমাদের।'

নড়াইল বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক মো. দিদার মাহমুদ তুষার বলেন, 'নামে হাইওয়ে হলেও আমাদের এই ছয়লেন না হওয়ার কারণের জন্য শুধু দুর্ঘটনায় কবলিত হয় তা না, বারবার ব্রেক করতে হয়। এতে ফুয়েল খরচ বেশি হয়। ব্রেকের ক্ষতি হয়।'

নড়াইলের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর কাজী হাসানউজ্জামান বলেন, 'নড়াইল থেকে কালিয়া পর্যন্ত চারলেন না হলেও অন্তত দুইলেন রাস্তা করতে হবে। এটা না করলে আমাদের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট করাটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।'

তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে ভাঙ্গা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত ১২৯ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীত করা হবে। দ্রুতই শুরু হবে জমি অধিগ্রহণের কাজ।

নড়াইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, 'প্রকল্পটি মূলত ভাঙা থেকে শুরু হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত চলে গেছে। এটা ছয়লেন প্রকল্প সরকারের। আমাদের প্রথম পর্যায়ে এ প্রকল্প পাস হয়েছে এবং কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি জাতীয়ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি মূলত ন্যাশনাল হাইওয়ের উপর প্রকল্পটি। আশা করি এটা যথারীতি সম্পন্ন হবে।'

সেতু দু'টি চালু হওয়ার আগে এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ যানবাহন চলাচল করলেও বর্তমানে চলাচল করছে আট থেকে দশ হাজার।

এসএস