দেশে এখন
0

ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখর মোংলা পৌর শহরের মৎস্য আড়ৎ

ভোরের আলো ফোটার আগেই ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে মুখর মোংলা পৌর শহরের একমাত্র মৎস্য আড়ৎ। দূরদূরান্ত থেকে হরেক রকমের দেশি ও সামুদ্রিক মাছ নিয়ে হাজির হন ব্যবসায়ীরা। দৈনিক গড়ে এ পাইকারি মাছের আড়তে ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হলেও চিংড়ির মৌসুমে তা কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। এখান থেকে মাছ রপ্তানি হলেও বাজার স্থানান্তরসহ মাছ সংরক্ষণ ও পরিবহন সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি ব্যবসায়ীদের।

রুই, কাতলা, চিংড়ি, ভেটকিসহ সামুদ্রিক ও দেশিয় মাছের সমাহার মোংলা পাইকারি মাছের আড়তে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৌর শহরের একমাত্র মাছের আড়তটিতে দেশীয় ও সামুদ্রিক মাছ নিয়ে হাজির হন মৎস্য চাষি ও পাইকাররা।

ভোরের আলো ফোটার আগেই ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে জমে ওঠে বাজার। সুস্বাদু মাছ পাওয়ায় দূরদূরান্ত অনেকেই এখানে মাছ কিনতে আসেন। পাশাপাশি এখান থেকে মাছ কিনে খুচরা ও পাইকারিতে অনেকেই অন্য স্থানে বিক্রি করেন। উভয়পক্ষই ভালো দাম পাওয়ায় তাদের ভরসার জায়গা এ আড়ত।

বিক্রেতাদের একজন বলেন, ‘নিজের ঘের মাছ নিজে এনেই এখানে বিক্রি করি। ভালো দাম পায়।’

পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে হওয়ায় এবং মাছ বিক্রি, সংরক্ষণ ও পরিবহনে লোকবলের প্রয়োজন হওয়ায় এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক বেকারের।

দৈনিক প্রতিটি আড়তে বিক্রি হয় পাঁচ থেকে ৩০ লাখ টাকার মাছ। মৌসুমে তা ছাড়িয়ে যায় কোটি টাকা। সামুদ্রিক মাছ ছাড়াও খুলনা অঞ্চলের নদ-নদী ও চাষের মাছের জন্য বিখ্যাত পাইকারি এ বাজার। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও জেলায়

এ বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ চিংড়ি রপ্তানি করেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু, এখানে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথা জানিয়ে সেগুলো সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ীদের দাবি সরকারি সহায়তা পেলে এখান থেকে সরাসরি মাছ রপ্তানির মাধ্যমে আয় আরও বাড়ানো সম্ভব।

ইএ