ছুটির দিনে জমজমাট মাছের বাজার। চারপাশে বিক্রেতাদের হাঁকডাক। পকেটের সামর্থ্য মেপে দরদাম করছেন ক্রেতারা। ছুটির দিনে চাহিদা বেড়েছে মাংসের দোকানেও। ক্রেতার ভিড় সেখানেও।
গেলো সপ্তাহের তুলনায় সিলেটের বিভিন্ন বাজারে কমেছে সবজির দাম। ফুলকপি, বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। পাঁচ টাকা কমে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে। আলু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১৩ টাকা কেজিতে। শিম, বেগুন, লাউ ও শালগমসহ অন্যান্য সবজিরও দাম অনেকটাই কম।
খুলনায় দেশি মাছের দাম এখনও বাড়তি। প্রতিকেজি শিং, কৈ, মাগুর বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৮০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত।
একজন ক্রেতা বলেন, 'বাজার করে স্বস্তি পাচ্ছি। এখন বাজারে দাম একটু লিমিটে আছে। সবসময় যদি এমন থাকে, রমানে এমন থাকলে আমরা আলহামদুলিল্লাহ ভালো থাকতে পারবো।'
তবে, সামুদ্রিক ও চাষের মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। মাংসের দাম আগের মতোই। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে।
একজন বিক্রেতা বলেন, 'মাছের দাম এখন কম। জাটকা ৪০০ থেকে ৪৫০, ডাবদা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা করে।'
একজন ক্রেতা বলেন, 'বাজারে মাছের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক কম।'
অন্যদিকে, চট্টগ্রামে কমেছে চাল ও পেঁয়াজের দাম। খুচরা পর্যায়ে মোটা ও মাঝারি আকারের স্বর্ণা, পায়জাম চাল কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা কমেছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে। সংকট দেখা দিয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের। খোলা তেলের সরবরাহ আগের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
কজন বিক্রেতা বলেন, 'এই যে বাজারে সংকটের কারণটা কী? কোনো কোম্পানির কাছে কী তেল নেই? কিন্তু দেয় না। দাম বাড়ানোর জন্য।'
শুল্ক বাড়ায় বেড়েছে আমদানি করা ফলের দাম। রাজশাহীতে প্রকারভেদে আঙুর বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে। প্রকারভেদে আপেল ৪২০ টাকা পর্যন্ত এবং কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি।
ক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও বেশকিছু পণ্যের দাম তুলনামূলক বাড়তি। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের মসলা ও আমদানি করা ফলের দাম এখনও নাগালের বাইরে। আমদানি শুল্ক কমিয়ে হলেও রমজানের আগে বাজার দর নিয়ন্ত্রণের দাবি সাধারণ মানুষের।