সিরাজগঞ্জ-সোনামুখী-বগুড়া আঞ্চলিক সড়ক। প্রতিদিন সিরাজগঞ্জ থেকে এই সড়ক হয়ে বগুড়া, গাইবান্ধা, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলার যানবাহন চলাচল করে। আবার মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লে বা যানজট হলে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন পরিবহন এই সড়ক ব্যবহার করে থাকে।
গুরুত্ব বিবেচনায় ২০১৯ সালে প্রায় ১ হাজার ২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কটির ৭৬ কিলোমিটার প্রশস্ত করার কাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। যার মধ্যে ৪ কিলোমিটার সড়ক উন্নীত করা হবে চার লেনে। কিন্তু দীর্ঘ ৫ বছরেও শেষ হয়নি এই প্রকল্পের কাজ।
পর পর তিন দফায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আংশিক কাজ করে মালামাল রাস্তার উপরে ফেলে রাখায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা কাঠের পুল থেকে ফকিরতলা অংশে।সেইসাথে বিভিন্ন অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে যাত্রী ও চালকেরা।
এলাকাবাসী জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির ফলে প্রকল্পের এই অবস্থা। দ্রুত সড়কটির বাকি অংশের কাজ শেষ করার দাবি তাদের।
তবে সড়ক বিভাগ প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রিতার জন্য ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতাকেই দায়ী করছে। দ্রুত সড়কের বাকি অংশের কাজ শুরু করার আশ্বাস তাদের।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল বলেন, ‘ভূমি না বুঝে পাওয়ার জন্য আমরা কাজ করতে পারছি না। তবে কিছু কিছু অংশ আছে যেখানে আমরা ভূমি বুঝে পেয়েছি। সেগুলোর কাজ আমরা ইতোমধ্যে শেষ করেছি। কিছু কাজ বাকি আছে। আমরা ঠিকাদারের সাথে বসেছি। এছাড়াও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, কাঁচামালের স্বল্পতা ও এবারের বর্ষা কাজ দেরিতে শুরু করতে প্রভাব ফেলেছে।’
সিরাজগঞ্জ অংশে ৯ টি ও বগুড়া অংশে ২টি প্যাকেজে চলা এই প্রকল্পের সবশেষ মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সালে জুন পর্যন্ত। এ পর্যন্ত এ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ।