দেশে এখন
0

অবৈধ অটোরিকশার কারণে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, বাড়ছে যানজট

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দাপটে অনেক এলাকা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে প্যাডেলচালিত রিকশা। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনেই চলছে অন্তত ৪০ হাজার অবৈধ অটোরিকশা। এতে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার তেমনি বাড়ছে যানজটের ভোগান্তি। এ অবস্থায় শহরে দুই সিটের অটোরিকশা নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা সংশ্লিষ্টদের।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে সাড়ে ১০ হাজার প্যাডেল রিকশার নিবন্ধন থাকলেও সড়কে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এমন অন্তত ৪০ হাজার অবৈধ অটোরিকশা চলছে শহরজুড়ে। বিশেষ করে নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় থেকে চকবাজার, কাপ্তানবাজার, শাসনগাছা, ধর্মপুর ও পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড সড়কে তিন চাকার এই পরিবহনের কারণে একদিকে বাড়ছে যানজটের ভোগান্তি। অন্যদিকে এর বেপরোয়া গতির কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনাও।

গণপরিবহন স্বল্পতায় নাগরিক চাহিদা পুঁজি করে একযুগ ধরে অবৈধ এসব যান নিয়ন্ত্রণ হতো টোকেনের মাধ্যমে। যার নেপথ্যে ছিলেন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা।

স্থানীয় একজন বলেন, ' অটোরিকশাটা অতিরিক্ত হয়ে গিয়েছে। আর তারা কোনো রুলস মানে না। তাদের ওভারটেক করতেই হবে। একজনকে আরেকজন ওভারটেক করতেই হবে ওদের।'

২০২২-২৩ অর্থবছরে বাৎসরিক ১৩০ টাকা করে ১০ হাজার ৫৩০টি প্যাডেলচালিত রিকশা নিবন্ধন নবায়ন করে। তবে সড়কে নেই এসব রিকশা। এ অবস্থায় যানজট নিরসন ও রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যে দুই সিটের অটোরিকশা নিবন্ধনের আওতায় আনার পরিকল্পনা সিটি করপোরেশনের।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'এখন পায়ে চালিত রিকশা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের রাজস্ব বাড়ানোর জন্য আমরা যে আবার শুরু করবো, আমাদের সামনে মাসিক মিটিংয়ে আলোচনা করে এটা নিয়ে আগাবো।'

এদিকে অবৈধ অটোরিকশা বৈধ করার সুযোগ নেই জানিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিরুল কায়ছার বলেন, সমস্যা সমাধানে বিকল্প নিয়ে ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, 'অটোরিকশা মালিক সমিতি বা যারা শ্রমিক রয়েছে তাদের সাথে আপাতত বসে নেগোসিয়েট করে আমার কী পরিমাণ ক্যাপাসিটি আছে, রাস্তার ক্যাপাসিটির সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমরা সিটি করপোরেশনের বাইরে আমরা কীভাবে পাঠিয়ে দিতে পারি এরকম একটি প্ল্যান আমি করছি।'

সিটি করপোরেশন, প্রশাসন ও ট্রাফিক বিভাগের সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে নগরীর যানজটের পাশাপাশি অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে মনে করেন নগরবাসী।

এসএস