দেশে এখন
0

মোটরসাইকেল চুরি: বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায়

বান্দরবানে মোটরসাইকেল চুরি করে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণ আদায় করছে নতুন একটি চক্র। চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার হলেও এখনও চোরদের শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন চুরির ঘটনার তদন্তে অবহেলা করছে। তবে দ্রুত চোর সিন্ডিকেটদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথা জানান পুলিশ সুপার।

গভীর রাতে বাড়ির গ্যারেজ থেকে মোটর সাইকেল চুরি করে পুকুরে ফেলে দিচ্ছে একটি চক্রের সদস্যরা- এমনটাই দেখা যায় সিসিটিভির ফুটেজে। সকালে গ্যারেজে গিয়ে দেখা যায় মোটর সাইকেল নেই, তবে দেয়ালে লেখা আছে যোগাযোগের একটি নম্বর। সাথে আরও লেখা 'গাড়ি পেতে কল করুন'। নির্দিষ্ট নাম্বারে কল করা হলে চক্রের সদস্যরা জানায়, গাড়ি পেতে দিতে হবে নির্দিষ্ট অংকের টাকা।

বান্দরবানের মধ্যমপাড়া, মেম্বারপাড়া ও চেয়ারম্যানপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এ ধরনের চুরির ঘটনা ঘটেছে। বিকাশের মাধ্যমে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে মোটর সাইকেল উদ্ধার করতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। টাকা দিলে ঝোপঝাড় কিংবা পুকুর থেকে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।

মোটরসাইকেল চুরির পর যোগাযোগ ও টাকা আদায়ের নম্বর চালু থাকার পরও কেন অপরাধীদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না- সে প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া যায়নি পুলিশের কাছ থেকে। তাই আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় একজন বলেন, 'আমাদের এখানের পুকুরে দু'পাশে দু'টি গাড়ি ফেলে দিয়ে চলে গেছে। টাকা দাবি করা এই সিন্ডিকেটকে ধরা খুবই জরুরি, যেন আমরা একটু স্বস্তি পাই।'

এদিকে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় অপরাধী শনাক্ত করতে ট্র্যাকিং কার্যক্রম ও তদন্ত জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার।

তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে পুলিশের নজরদারি আমরা বৃদ্ধি করেছি। পাশাপাশি যে চক্র এই কাজটা করছে সে চক্রকে ধরার জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত যে কার্যক্রম সেটাও অব্যাহত আছে।'

এখন পর্যন্ত ১০টি মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় টাকা দিয়ে পাঁচটি উদ্ধার করা হয়েছে। বিআরটিএ- এর তথ্য মতে জেলায় ১ হাজারের বেশি মোটর সাইকেল ব্যবহারকারী রয়েছেন।

এসএস