শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হত্যা, নির্যাতন কিংবা হল দখলসহ নানান অভিযোগে বারবার অভিযুক্ত হয়েছে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ। গণ অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও বিভিন্ন সময়ে এমন নানান অভিযোগে সম্প্রতি নিষিদ্ধ হয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নিরাপদ বাংলাদেশ চাই’ এর আয়োজনে ‘শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রবন্ধে উঠে আসে ১৫ বছরে ছাত্রলীগের অপরাধের আদ্যোপান্ত।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের হাতে সাধারণ শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন পর্যায়ে নিহত হয়েছে ৮৬ জন। যার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিহত হয়েছে ৫১ জন। এ সময় ধর্ষিত হয়েছেন ১৪ জন নারী। এছাড়া যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে ৬৯।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে ছাত্রলীগ অনিরাপদ পরিবেশ তৈরি করেছিল। এ জন্যই ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ছাত্রলীগের মতো আর কোনো সংগঠন যাতে তৈরি না হয় সেদিকে দেশের তৃণমূল পর্যন্ত সাধারণ মানুষদের সচেতন করার তাগিদও দিয়েছেন তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘অনেক ছাত্রলীগ নেতা চাকরির লোভে ছাত্রলীগ করেছে, যার ফলে মেধাবীরা বৈষম্যের শিকার হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘এই শিক্ষাঙ্গনকে আমরা কীভাবে নিরাপদ করবো এই বিবেকটা হওয়া উচিত। কীভাবে করলে আরেকটা ছাত্রলীগ তৈরি হবে না এদেশে। সেটার জন্য আমাদের ডিবেট করতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে প্রতিটা শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে সেটা নিয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। বলতে হবে যে, না আমরা এ ধরনের আরেকটা মনস্টার আমাদের সোসাইটিতে চাই না।’
প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ যেন নিরাপদ হয় সেটা চাই। বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গনের সন্ত্রাসের ইতিহাস অনেক পুরনো। আমরা অনেকেই জানি। সেই ইতিহাস যেন আমরা ভুলে না যাই। আমরা শিক্ষাঙ্গনকে নিরাপদ রাখি।’