জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবিতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়া মঞ্চের মানববন্ধন। সেখান থেকে স্লোগানে স্লোগানে দাবি জানানো হয় দ্রুত নির্বাচনের।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম বলেন, 'গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে এই মুহূর্তে নির্বাচিত সরকার দরকার।'
তিনি বলেন, 'গুটিকয়েক লোক নয়, বরং জনগণই ঠিক করবে দেশ কারা পরিচালনা করবে।'
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম আরো বলেন, 'ডিসেম্বর আমাদের জন্য ঐতিহাসিক এবং বিজয়ের মাস। আমরা আশা করি, ড. ইউনূস সাহেবের সরকার এই ডিসেম্বরের মধ্যে একটি নির্বাচন দিয়ে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম লিখে রাখবেন।'
একই দিন প্রেসক্লাবে 'ফ্যাসিবাদের মিথ্যা মামলায় ৬০ লাখ আসামি, মুক্তি কতদূর' শীর্ষক আলোচনা সভায় বিএনপির আরেক শীর্ষ নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'নির্বাচন নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দের অবসান চায় জনগণ।'
দাবী করেন দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার।
তিনি বলেন, "কিছু উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, যা '২৪ এর গণঅভ্যুত্থানকে কলঙ্কিত করছে।"
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, 'আমরা শুনেছি প্রধান উপদেষ্টার সব মামলা প্রত্যাহার হয়ে গেছে। উনিও শেখ হাসিনার ঈর্ষা, বিদ্বেষ এবং আক্রশের শিকার। আমরাও আন্দোলন করেছি, নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছি। তবে কথা হলো, তাদের মামলা যদি প্রত্যাহার হয়ে যায়, আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা ৬০ লাখ। একটি দেশের জনসংখ্যার চেয়ে আমাদের এখানে আসামির সংখ্যা বেশি। এটা কেন হবে?'
ফ্যাসিবাদের দোসর ও ফ্যাসিবাদকে যারা প্রলম্বিত করেছে তাদের সবার দ্রুত বিচারের দাবি জানান তিনি।