ফেসবুকে দেয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘ঘোষণা: অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন। একাধিক আইনজীবীর পরামর্শ মতে, বাংলাদেশের দিক থেকে ছাত্রলীগের কারো বক্তব্য প্রচার আইনত ঠিক হবে না। এই বিবেচনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হলো।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্র ঠিকানার প্রধান সম্পাদক হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন খালেদ মুহিউদ্দীন। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি একটি টকশোর উপস্থাপনা করেন।
এবারের পর্বে অনলাইন টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে অতিথি করা হয়েছে। আগামীকাল রাতে এই টকশো অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে তার এই অতিথির বাছাই ও ঘোষণা দেয়ার পর পরই ফেসবুক-এক্সে ব্যাপক সমালোচনা জানান অনেকে।
এর আগে এ বিষয়টি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমও আজ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘খালেদ মুহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারের সঙ্গে টকশো করেছেন? এটা আমাদের দুই হাজারের অধিক শহীদের সঙ্গে বেঈমানি, অর্ধলক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।’
আর হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, 'নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সঙ্গে প্রতারণা করা হলো।'