বঙ্গোপসাগরে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। এর প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর। মেঘাচ্ছন্ন উপকূলীয় অঞ্চল, কোথাও কোথাও থেমে থেমে পড়ছে বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক ও জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কায় দিন কাটছে উপকূলের বাসিন্দাদের।
আজ (বুধবার, ২৩ অক্টোবর) সকাল থেকেই দমকা হাওয়ার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে বরগুনায়। এখনো ঝুঁকিতে রয়েছে জেলার ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের ৬টি পয়েন্ট। এ অবস্থায় জলোচ্ছ্বাস হলে তলিয়ে যেতে পারে এক লাখেরও বেশি হেক্টর জমির ফসল। সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তায় বরগুনার নিম্নাঞ্চলের মানুষ।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন জানান, পানি যদি কিছৃটা বাড়ে তাহলে আমাদের ক্ষয়ক্ষতি হবে। আরও একজন জানান, যদি বন্যা হয় তাহলে পানি ভেতরে ঢুকে ফসলের অনেক ক্ষতি হবে।
এদিকে পটুয়াখালীর পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে মির্জাগঞ্জের পিঁপড়াখালী থেকে ভিকাখালী পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ কিলোমিটার বেরিবাঁধ রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় দানার খবরে ৫ গ্রামের হাজার মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎকণ্ঠা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, জেলায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলো সংস্কারে কাজ চলছে। সেগুলোতে যেন পানি ঢুকতে না পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা।
পটুয়াখালী পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, 'ব্রিজের যে পয়েন্টগুলো সেগুলো আমরা বন্ধ করেছি। তবে বেড়িবাঁধ এখনও ঝুঁকিপূর্ণ আছে সেগুলোর কাজ করতে এখনও সময় লাগবে। সবগুলো পয়েন্টে আমাদের কাজ করতে সময় লাগবে।'
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে দিন পার করছেন চরাঞ্চলে বাসিন্দারা। এরই মধ্যে প্রস্তুতি সভা করছে ভোলা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। দুর্যোগ মোকাবেলায় ৩ স্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
ভোলার জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান বলেন, 'দুর্যোগ যদি আসে তাহলে থাকার ব্যবস্থা খাওয়া এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা সব দায়িত্ব আমরা গ্রহণ করলাম।'
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত নামিয়ে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে সাইক্লোন শেল্টার। একই সাথে পর্যাপ্ত পরিমাণ শুকনা খাবার মজুদ রাখা রয়েছে বলে জানিয়েছন উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা।