জলোচ্ছ্বাস
সিডরের ক্ষত বুকে নিয়েই টিকে আছে উপকূলবাসী
২০০৭ সালে, ১৭ বছর আগে এই ১৫ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় সিডরের আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয় উপকূলীয় জেলা বরগুনা। সে ক্ষত বুকে নিয়েই আশার বসতি গড়ে তুলছেন উপকূলীয় বাসিন্দারা। তবে দীর্ঘ সময় পরেও দুর্যোগ মোকাবিলায় টেকসই কোনো সমাধান মেলেনি প্রান্তিক এই জনগোষ্ঠীর।
উপকূলবাসী আজও ভুলতে পারেনি সত্তরের ভয়াল ১২ নভেম্বর
ভয়াল ১২ নভেম্বর আজ। ১৯৭০ সালের এদিনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় গোর্কির আঘাতে দক্ষিণাঞ্চলের ১০ লাখেরও বেশি ঘর-বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩৬ লাখ মানুষ। শুধু ভোলাতেই মারা যায় অন্তত পাঁচ লাখ মানুষ। সে ঘটনার ৫৪ বছর পার হলেও হয়নি স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে শঙ্কায় সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ
ঘূর্ণিঝড় 'দানা' সরাসরি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার শঙ্কা না থাকলেও জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষ। অন্তত নয়টি পয়েন্টে ছয় কিলোমিটার উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সামান্য জলোচ্ছ্বাসের এসব পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে দুই উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ।
রাতের মধ্যে প্রবল রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'
আজ রাতের মধ্যেই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে 'দানা' উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে মেঘাচ্ছন্ন উপকূলীয় অঞ্চল। গুমোট আবহাওয়ায় পড়েছে ভ্যাপসা গরম। কোথাও কোথাও শুরু হয়েছে বৃষ্টি। জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা থাকায় আতঙ্কে উপকূলের বাসিন্দারা।
বন্যায় হ্যাম রেডিওর কারণে প্রাণে বেঁচেছেন অনেকে
কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই ২০ আগস্ট গভীর রাত থেকে দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের আটটি জেলা প্লাবিত হতে শুরু করে। পরদিন দুপুরে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। দেখা দেয় নিরাপদ আশ্রয়, খাবার ও সুপেয় পানির অভাব। তবে এই সময়ে বন্যা কবলিত মানুষের পাশে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায় হ্যাম রেডিও। দ্রুত সময়ে ছড়িয়ে দেয়া হয় এর সেবা। এতে উদ্ধার কার্যক্রম তরান্বিত হওয়ার পাশাপাশি প্রাণেও বেঁচেছেন অনেকে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ১০ জনের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা ও চট্টগ্রামসহ ছয় জেলায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ভেঙে গেছে বেড়িবাঁধ
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সেই সাথে বিভিন্ন জায়গায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। এদিকে রিমালের তাণ্ডবে পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা ও ভোলায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
বাঁধ নিয়ে ঝুঁকি ও সুপেয় পানি সংকট নিত্যসঙ্গী উপকূলবাসীর
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে যুদ্ধ করে জীবন চলে খুলনাঞ্চলের উপকূলবাসীর। বেড়িবাঁধ নিয়ে ঝুঁকি ও সুপেয় পানি সংকট তাদের নিত্যসঙ্গী। নানা সংকটে খুলনার কয়রা উপজেলার আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটেনি বহু বছর ধরে। পূর্ব-পুরুষদের পেশা নদী থেকে মাছ শিকার ও কৃষিকাজেই আটকে আছে তাদের জীবন।