শিক্ষা
দেশে এখন
0

সেরার অর্জন অভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের উৎসর্গ কাদির মোল্লা কলেজের

চলতি বছর এইচএসসিতে ফলের দিক থেকে দেশসেরা অবস্থানে রয়েছে নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ। প্রতিষ্ঠানটি থেকে এক হাজার ৩৯৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাশ করেছে। এছাড়া এক হাজার ১৮১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে । জিপিএ-৫ এর হার ৮৪.৬৬ শতাংশ। এই অর্জনকে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের উৎসর্গ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আবদুল কাদির।

ফল প্রকাশের পরই প্রতিষ্ঠানে ছুটে আসে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। আজ (মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর) দুপুরে আনন্দঘন পরিবেশে মিষ্টি বিতরণের পাশাপাশি বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, ‘২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ফলাফলের পরীক্ষা চলছিল জুলাইয়ের আন্দোলনের মাঝখানে। অন্যান্যদের পাশাপাশি আমাদের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বহু শিক্ষার্থী আহত হয়, এখনও অনেকে আহত অবস্থায় আছেন। ৫ আগস্টের ঘটনায় নরসিংদীর শিক্ষার্থীদের এবং সাধারণ মানুষের যেই অংশগ্রহণ ছিল তা প্রশংসার দাবি রাখে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বছর আমাদের ভালো ফলাফলটা জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের উৎসর্গ করছি।’

প্রসঙ্গত, নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান শাখায় ৯২৬ জন, ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ১৯১ জন এবং মানবিক শাখায় ২৭৮ জন পরীক্ষার্থী ছিল। সর্বমোট এক হাজার ৩৯৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাসসহ বিজ্ঞান শাখায় ৯১০ জন, ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৩২২ জন ও মানবিক শাখায় ৫১ জন অর্থাৎ সর্বমোট এক হাজার ১৮১ জন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।

এছাড়া, প্রতিষ্ঠানটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০০৮ সালে প্রথম ফলাফলে পাশের হার ৯৯ শতাংশ। ২০০৯ সালে শতভাগ পাসসহ ঢাকা বোর্ডে পঞ্চম এবং সমগ্র বাংলাদেশে ষষ্ঠ স্থান, ২০১০ সালে শতভাগে চতুর্থ স্থান ও ঢাকা বোর্ড কর্তৃক জেলার শ্রেষ্ঠ কলেজ নির্বাচিত। ২০১১ সালে ঢাকা বোর্ডে টপ টোয়েন্টিতে সপ্তম স্থান এবং শতভাগে চতুর্থ স্থান। ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ঢাকা বোর্ড তথা সমগ্র বাংলাদেশে শতভাগ পাশসহ টপ টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক টপ টুয়েন্টি ফলাফল পদ্ধতি বাতিল করায় সামাজিক ও গণমাধ্যমের তথ্য ও উপাত্ত অনুযায়ী ২০১৫ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সেরা ফলাফলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আসছে।

এসএস