ঠিক যেনো নিরঞ্জনের পদ্মা ছুঁয়ে প্রকৃতিতে আগমন ঘটছে দেবী দুর্গার। মায়ের আঁচল ছোঁয়া শুভ্র কাশবন আর আকাশের কপালজুড়ে লালচে সিঁথির সিঁদুর জানান দিচ্ছে দেবীপক্ষের। দেবী মায়ের মর্ত্যে আগমনের বার্তায় প্রকৃতির এ সাজে চারিদিকে যেন চলছে আনন্দযজ্ঞ।
আর ক'দিন বাদেই আসছেন মা দুর্গা, দুর্গতি নাশিনী। তাতেই ব্যস্ত শিল্পীর তুলি।
কার্তিক চন্দ্র পাল, দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতিমা তৈরি করে আসছেন। বছরজুড়ে চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করেন লক্ষ্মী, সরস্বতী, কালী এবং দুর্গা প্রতিমা। তবে গেল বছরের চেয়ে এবার কমেছে প্রতিমার চাহিদা। পাশাপাশি প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত বাঁশ, কাঠ, খড়, সাজসজ্জার উপকরণের দাম ও শিল্পীদের মজুরি খরচ বেড়েছে। সেই তুলনায় কমেছে লাভ।
কার্তিক পাল বলেন, ‘কর্মচারী বেতন থেকে প্রতিমা বানানোর জিনিসের সবকিছুর দাম বেড়েছে। গহনা, রঙ এইগুলা বাহির থেকে আমদানি করতাম সেগুলো এবার করতে পারছি না।’
দুর্গোৎসবের প্রস্তুতির সময় প্রায় শেষের দিকে, তাই রাত দিন এক করে কাজ করছেন কারিগররা। প্রতিমার গায়ে নকশা কাটার পাশাপাশি রঙের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। তবে এবার ভারত থেকে প্রতিমার সাজ সরঞ্জামাদি আমদানি করতে না পাড়ায় কারিগররা পড়েছেন বিপাকে।
প্রতিমা কারিগরদের একজন বলেন, ‘আগে একটা প্রতিমা বিক্রি হতো ৫০ হাজার টাকার মতো। দেশের এই পরিস্থিতির কারণে প্রতিমার যে দাম তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও রাজশাহীতে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা জোরদারের পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতায় বিভাগীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও রাসিক প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, 'পূজা দেখতে যাবেন ও অংশগ্রহণ করবেন তাদের নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত হয় সেক্ষেত্রে মন্ডপগুলোকে সিসিটিভির আওতায় আনতে বলা হয়েছে।'
এ বছর রাজশাহী মহানগরীর ৭৮টি ও জেলার ৩১২টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।