গেল ২ দিন ধরে টানা বর্ষণ আর ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে প্লাবিত শেরপুর। এছাড়া নদীর পাড় ভেঙে হু হু করে পানি প্রবেশ করেছে নিম্নাঞ্চলে।
বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ভোগাই ও চেল্লাখালি নদীর পানি বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। ভাঙন দেখা দিয়েছে মহারশী নদীর ৩টি স্থানে। এরই মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে ৪০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতশত পরিবার। পানি প্রবেশ করেছে বাড়ি-ঘরে। এদিকে পানিতে টিউবওয়েল তলিয়ে তৈরি হয়েছে সুপেয় পানির সংকট।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন জানান, আমরা কেউ রান্না করে খেতে পারছি না। বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছেনা। রাস্তার উপরে পানি উঠে গেছে।
বাজারে পানি উঠেছে। ব্যবসায়ীদের মালপত্র, চাল সব ভিজে যাচ্ছে বলেও জানান একজন।
আরও একজন জানান, পানিতে শত শত কোটি টাকার মাছের ঘের প্লাবিত হয়ে গেছে।
ঢলের পানি প্রবেশ করেছে ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরেও। এতে ডুবে গেছে প্রধান সড়ক, বাজারের অলিগলি ও অফিসসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আকস্মিক ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় বিপাকে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে পানিতে ডুবে গেছে শতশত পুকুর, সবজি ও ধানের খেত। বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে চরম বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে এখন পর্যন্ত জনপ্রতিনিধিদের কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ তাদের।
স্থানীয়দের মধ্যে একজন অভিযোগ জানিয়ে একজন বলেন, 'আমাদের ঝিনাইগাতি বাজার ঘেঁষে মহারশি নদীর পানিতে নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হয়। বাজার রাস্তা-ঘাট নষ্ট হয়।'
শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড করা হয়েছে ২২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।